আগামী 5ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনের ফলাফলকে ঘিরে জড়িয়ে আছে সারা বিশ্বের অর্থনীতি। যিনি জয় লাভ করবে তার হাতে থাকবে সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক শক্তির নাটাই। চার বছর পর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় আর এই নির্বাচনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোতে।
সারা পৃথিবীর মানুষ এখন ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে। কারণ এই নির্বাচনের ফলাফলের উপর বিশ্বের রাজনীতি অর্থনীতি ভুরাজনীতি নির্ভর করে।
যে সব প্রভাব পড়তে পারে সারা বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের ফলে
অর্থনৈতিক সংকট
অনেক বিশ্লেষকদের মতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক চাকা সচল এবং অনেক ভালোভাবে চলছে। কিন্তু এই মতের সাথে একমত নন অনেক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। ওই দেশের নাগরিকদের মধ্যে অর্থনৈতিক হতাশা ঘুরপাক খাচ্ছে। এছাড়াও দরিদ্র দেশগুলোতে অর্থনৈতিক অগ্রগতির সাথে ট্রাম্পের রক্ষণশীল নীতি বাধাঁর সৃষ্টি হবে। এছাড়াও বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিশ্বায়ন বাধাঁ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সারা বিশ্বের জলবায়ু সংকট
জলবায়ু বিষয়ক সংগঠন ফ্রেন্ডস অফ দ্য আর্থ অ্যাকশনের সরকার অ্যারিয়েল মগের মতে যুক্তরাষ্ট্র গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তুু বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন এবার নির্বাচন প্রচারণায় পররাষ্ট্রনীতি অভিবাসন অর্থনীতির মত জলবায়ু পরিবর্তন তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না।
ইউক্রেন যুদ্ধ
ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি নির্বাচনে জয়লাভ করে তাহলে ইউক্রেন যুদ্ধ অতি শীঘ্রই সমাপ্তি ঘোষনা হবে বলে আশঙ্কা করা যায় কারণ তিনি যুদ্ধ সমর্থন করেন না। অন্যদিকে কমলা বলেছেন আমি ইউক্রেন কে বিজয় করতে পাশে দাঁড়াবো। তবে যেই নির্বাচিত হোক না কেন পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সকল অঙ্গরাজ্যে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত রিপাবলিক প্রার্থী ডোনাল্ড টাম্প ও ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস।সারা বিশ্বের উৎসুক মানুষের ব্যাপক উত্তেজনা থাকে এই নির্বাচনকে ঘিরে।
গোটা পৃথিবীর মানুষের উপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই নির্বাচনের প্রভাব পড়ে।