গত জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার তীব্র গণঅভ্যত্থানের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। প্রায় শতাধিক হত্যা দুর্নীতি ও অনিয়মের মামলা রয়েছে হাসিনা ও তার সরকারের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া প্রসঙ্গে।
হেমন্ত সোরেন প্রশ্ন তুলেছেন, কিসের ভিত্তিতে ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে।
ঝাড়খন্ডের মূখ্যমন্ত্রী, একটি নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় বলেছেন, তিনি জানতে চান,বাংলাদেশের সঙ্গে বিজেপির কোনো অভ্যন্তরীণ সমঝোতা আছে কিনা?
তিনি আরো জানতে চেয়েছেন, “তাদের যেনো জানানো হয়, কিসের ভিত্তিতে তারা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকে ভারতে অবতরণ ও আশ্রয় নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন”।
সম্প্রতি দেশটির বিজেপি ভারতের ক্ষমতাসীন দল নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছেন। অমিত শাহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বারবার মন্তব্য করেছেন ‘অনুপ্রবেশ’ নিয়ে।
বিশেষ করে বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করেই এই বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। অমিত সাহ আরো মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য একদিন ঝাড়খণ্ডের স্থানীয়রাই সংখ্যালঘু হয়ে যাবেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্যের কঠিব প্রতিক্রিয়া জানতে গিয়েই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বাংলাদেশের পদত্যাগকৃত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গটি টেনে কথা বলেন।
হেমন্ত সোরেন বলছেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোর মাধ্যমেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে।
ভারতে প্রতিনিয়তই বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঘটছে, অন্যদিকে সামনে নির্বাচন তাই ক্ষমতাসীন বিজিপি দল এই অনুপ্রবেশ নিয়ে বারবার কথা বললে, ঝাড়খণ্ডের মূখ্যমন্ত্রী ৫ আগস্ট বাংলাদেশে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রসঙ্গে কথা বলেন।