অনেকের কৌতুহল থাকে মার্কিন ব্যালট পেপার কেমন? এবং কত সময় লাগে ব্যলট পেপারে ভোট দিতে? এ সকল কৌতুহল দূর করতে এবার ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছেন এর উত্তর।
বহুল প্রতিক্ষার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহন শুরু হয়েছে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার। দেশটিতে নির্বাচনে ব্যালট প্রথার মাধ্যমে ভোট গ্রহন করা হয়।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী – অন্যান্য দেশের ব্যালট পেপারে মতো মার্কিন ব্যালট পেপার হয় না এটি বেশ আলাদা হয়। মার্কিন নাগরিকরা বিশাল এক ব্যালট পেপারে ভোট দেয় এই ব্যালট পেপার পূরন করতে তাদের প্রায় ১০ মিনিট লাগে। ভোটারদের নিজেদেরই ২/৩ পাতার এ সাদা ব্যালট পূরন করতে হয়।
এ ব্যালটে যে শুধু প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদেরই নাম থাকবে যেমন কমলা হ্যারিস বা ডোনাল্ড ট্রাম্প তা কিন্তু নয় এখানে প্রতিনিধি সভার প্রার্থী, মার্কিন সিনেটর নাম এবং অন্যান্য ইনিশিয়েটিভ বা প্রস্তাবও যেনো মার্কিন ভোটাররা দিতে পারেন সে জন্য ও বরাদ্দ থাকে বিশেষ ঘর। ভোটাদের আঙ্গুলের ছাপ বা সিল দিয়েও ভোট দিতে হয় না তারা ভোট দেন গোলাকৃতির ঘর পূরনের মাধ্যমে। বৃত্তাকারে ঘর পূরন করতে হয় ক্রস বা টিক চিহ্ন দিয়ে নয়। এতে প্রায় সময় লাগে ১০ মিনিট।
চিঠির মাধ্যমে বা সুনির্দিষ্ট স্থানে ড্রপ অফের মাধ্যমে ডাকযোগেও মার্কিন ভোটাররা ভোট দিতে পারেন সশরীরে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি।
ভোট গননা শুরু ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরেই। সাধারণত বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ভেদে স্থানীয় সময় অনুযায়ী সন্ধ্যা ৭ টা থেকেই ভোট গননা শুরু হয় তবে ভোট গননার সময়ে পার্থক্য দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রে তবে যে স্টেটের ভোট গননা দ্রুত শেষ হয়ে যায় সেই সেই স্টেট থেকে রাতেই ফলাফল দিয়ে দেওয়া হয়।
চুড়ান্ত ফলাফল পেতে বেশ কয়েকদিন দেরি হয় যেমন ২০২০ সালে হয়েছিল, কারন সকল অঙ্গরাজ্যগুলো থেকে ব্যালট গননা ও চিঠির মাধ্যমে আসে সেসকল ভোট গননা করতে হয় তাই সব অঙ্গরাজ্যে চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করতে বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত সময় লেগে যায়।
২০২৪ সালের নির্বাচনেও এমনটা হতে পারে। নতুন প্রেসিডেন্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদের চুড়ান্ত ফলাফল জানতে ৫ নভেম্বরের পরও অনেক দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।