যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতোন নিরঙ্কুশ ভোটে জয় লাভ করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতিতে ট্রাম্পের এ সময়ে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে ধারনা করা হচ্ছে ।
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন ও ফিলিস্তিন বাসীরা আশা এবং আশঙ্কার মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছেন এ সকল যুদ্ধ-সংঘাত বন্ধে কি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিবেন ট্রাম্প নাকি আবারো আগের অবস্থানেই থাকবেন তিনি? সেটাই এখন প্রশ্ন।
নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় চালানো কালীন সময়ে ট্রাম্পে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মধ্যপ্রাচ্যেও ইউক্রেনের মত শান্তি ফিরানোর। দাবি করেছিলেন, ফিলিস্তিন ও লেবাননে ইসরায়েল-হামাস, ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর এই যুদ্ধ সংঘাত বন্ধ করবেন এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসলে। তবে জানান নি এ যুদ্ধ কিভাবে বন্ধ করবেন তিনি।
এর পূর্বে ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালীন কট্টর ইহুদি পন্থি ইসরায়েল পন্থী ছিলেন। বারবার ট্রাম্প বলেছেন, ট্রাম্প যদি জো বাইডেনের পরিবর্তে ক্ষমতায় থাকতেন তবে হামাস ইসরায়েলে হামলা চালাতো না কারন ইরানের উপর সর্বোচ্চ চাপ বিদ্যমান থাকতো।
ধারনা করা হচ্ছে ট্রাম্প তার পূর্ববর্তী নীতিতেই থাকবেন, ইরানের সঙ্গে পরমানু চুক্তিতে নিজ দেশকে দূরে রাখবেন তিনি। বিস্তৃত নিষেধাজ্ঞা জারি করবেন ইরানের বিরুদ্ধে।
ট্রাম্প বিগত সময় ক্ষমতায় থাকাকালীন যুক্তরাষ্ট্র “জেনারেল কাসেম সোলাইমানি” সবচেয়ে ক্ষমতাশীল ইরানের সামরিক কমান্ডারকে হত্যা করে।
ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ফিলিস্তিনের জেরুজালেম কে স্বীকৃতি দেন, আমেরিকার দূতাবাস জেরুজালেমে নিয়ে আসেন তেল আবিব থেকে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প কে হোয়াইট হাউসে থাকা সবচেয়ে ভালো বন্ধু বলে অভিহিত করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, মধ্যপ্রাচের গাজা- ইসরায়েল ও লেবানন – ইসরায়েলের বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো উসকে দিতে পারে ট্টাম্প এবং তার মধ্যপ্রাচ্য নীতি।
ট্রাম্প ২০২০ সালে ইসরায়েলের সাথে আরব ও মুসলিমদেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে আব্রাহাম চুক্তি করেন তখনো ফিলিস্তিনবাসীদের দাবি তিনি পুরোপুরি ভাবে উপেক্ষা করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে এবারের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়াতে কেমন প্রভাব ফেলবে মধ্যপ্রাচ্যে সেটাই এখন সকলের দুশ্চিন্তা।