ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে মানবাধিকার ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারের ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ২২ শে নভেম্বর শুক্রবার এই ঘোষণা দেয়া হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে। এমন তথ্য পাওয়া গিয়েছে বিবিসির সংবাদ মাধ্যম থেকে।
বেনিয়ামের নেতানিয়াহু এর মুখপাত্র কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি এই বিষয়ে। তিনি শুধু বলেছেন সরকার দায়িত্ব পালন করবে আইনের অধীনে।
২০০১ অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইন যুক্ত রাজ্যের কোন গ্রেফতারি পরো না জারি হলে তা স্থানীয় বিচারীক কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে হয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী কে।
বিচারিক কর্মকর্তা কার্যকরের করার অনুমোদন দেবেন যদি পরোয়ানা টি বৈধ হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এই আইনের ভিত্তিতে।
ডাউটিং স্টিম জানিয়েছেন গেফতারি পরোয়ানা জারির পর আই সিসির স্বাধীনতা কে সম্মান করে যুক্তরাজ্য এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে কাজ করছে।
তবে আদালতের ১২৪ টি দেশের মধ্যে কয়টি দেশ এটি বাস্তবায়ন করতে চাই এর ওপর নির্ভর করছে কার্যকারিতা হবে কিনা। তবে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সদস্য নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এমন পদক্ষেপ কে উগ্রপন্থী বলেছেন। অপরদিকে আইসিসির সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়েছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং বাস্তবায়ন করতে কাজ করতে চেয়েছেন।
অপরদিকে বিরোধীদলীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেম প্রীতি প্যাটেল এই সিদ্ধান্তকে উস্কানিমূলক ও উদ্বেগ জনক বলে আখ্যা দিয়েছেন।
এছাড়াও তিনি অভিযোগ করে বলেন হামাস ও ইসরাইলের কার্যকলাপকে আইসিসি নৈতিকভাবে সমান বিবেচনা করেছে।
অপরদিকে আইসিসির এই পদক্ষেপ কে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইহুদি-বিদ্বেষী বলেছেন। হামাস এমন সিদ্ধান্তকে ন্যায়বিচার হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে।
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গাজায় মানবিক সাহায্য না পৌঁছানো কে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি আইসিসির সিদ্ধান্তে বলেন এটি কোন রায় নয় শুধু অভিযোগের আনুষ্ঠানিকতা।