ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধ বিরতিতে চুক্তি অনুমোদন করেছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সভাপতিত্বে গতকাল মঙ্গলবারে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ কথা জানিয়েছে ইসরাইলের এক সংবাদমাধ্যমের বরাতে।
মন্ত্রিসভার এই বৈঠক শেষে জাতির উদ্দেশে নেতানিয়াহু ভাষণ দিয়েছেন। এই সময় তিনি চুক্তির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেছেন, উত্তর ইসরায়েল এর বাসিন্দারা তাদের বাড়িঘরে ফিরে যাবে।
নেতানিয়াহু লেবাননে হামলার প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী হিজবুল্লাহকে পিছু হটিয়ে দিয়েছে। কয়েক দশক আগের অবস্থায় তারা চলে গেছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী হুশিয়ারি করে বলেছেন, ‘যদি হিজবুল্লাহ চুক্তি ভঙ্গ করে করে তবে তাদের ওপর আমরা হামলা চালাব।’
মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা ইজরায়েল পাল্টে দিচ্ছে জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অর্থ হলো ইরানের হুমকি মোকাবেলাতে এখন কঠোরভাবে জোর দেওয়া যাবে।
ইসরায়েলের মন্ত্রিসভাতে লেবাননের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদিত হওয়ার পর এই নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সময় গত মঙ্গলবার বেলা ২টা ৩০ মিনিটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বক্তব্য দেওয়ার কথা। এই কথা জানানো হয়েছে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে।
এর পূর্বে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছিলেন হিজবুল্লাহ নেতা নাইম কাসেম এবং লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মেকাতি।
গত বছর ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজাতে ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হয়েছিল। তখন থেকেই ফিলিস্তিনের সমর্থনে হামাস ও ইসরায়েলের সাথে সংঘাতে জড়ায় হিজবুল্লাহ। ১ বছরের বেশি সমতে চলা এই সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়। ইসরায়েল লেবাননের স্থল অভিযান শুরু করে ও হিজবুল্লাহর শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে হত্যা করে। এতে নিহত হন হিজবুল্লাহর প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে একজন ও সংগঠনটির প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ।
মূলত যুক্তরাষ্ট্রের চাপে হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধ বিরতির চুক্তিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। গত রবিবার সিএনএন এর বিশ্লেষক বারাক রাভিদ বলেছেন, আমোস হোচেস্টেইনযুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত তিনি ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, ইসরায়েল যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া না দিলে মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা থেকে তিনি সরে দাঁড়াবেন।