রস রাসেল যিনি পেশায় একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। সম্প্রতি তিনি দুইশো নয় বছরের পুরোনো একটি স্কটিশ বাতিঘর বা লাইটহাউস নিরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন। এই কাজ করতে গিয়ে তিনি সেখানে পান শত বছরের পুরোনো বোতলবন্দী একটি চিরকুট। তিনি ভেবেছিলেন কোন গুপ্তধনের সন্ধান পেয়ে গেছেন।
রাসেল নর্দান একজন কর্মী লাইটহাউস বোর্ডের । তিমি সেখান থেকেই ক্রসওয়াল লাইট হাউসে গিয়েছিলাম।
বাতিঘরটি অবস্থিত স্কটল্যান্ড এর দক্ষিণ–পশ্চিমের রিনস অব গ্যালওয়েতে । সমুদ্রে জাহাজ চলাচল নিরাপদের জন্য নাবিকদের কাছে এই বাতিঘর গুরুত্বপূর্ণ। এগুলির নিয়মিত সংস্কার করতে হয়।
রাসেল ক্রসওয়াল লাইটহাউসে গিয়েছিলেন কি কি সংস্কারের প্রয়োজন তা দেখতে।
ব্যারি মিলার বাতিঘরটির বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক, তার সামনেই বোতলটি খোলা হয়। বোতলটি খুলতে তাঁদের বেশ খাটুনি করতে হয়েছে। বোতলের সিপি সেটির মুখে একদম আটকে গিয়েছিল। একটি ড্রিল মেশিনের মাধ্যমে সর্তকতার সাথে সেটির ভেতরে ড্রিল দিয়ে মুখ খোলা হয়।
একটি কাপবোর্ডের কয়েকটি প্যানেল সরাতেই রাসেল দেয়ালের ভেতর দেখতে পান লুকিয়ে রাখা একটি বোতল। দেয়ালের ভেতরে হাত দিয়ে বোতলের নাগাল পাচ্ছিলেন না তাই সহকর্মীদের ডেকে আনেন। তারপর একটি ঝাড়ুর হাতল ও একটি লম্বা দড়ি দিয়ে বোতলটি টেনে বের করেন। বোতলটি লম্বা আট ইঞ্চির মতো এবং নিচের অংশের গঠন বেশ অস্বাভাবিক।
বোতল থেকে বের হয়ে আসে একটি চিরকুট যেখানে ৪ সেপ্টেম্বর ১৮৯২ তারিখ লেখা আছে এবং চিরকুটে লেখা রয়েছে তিনজন প্রকৌশলীর নাম। ১০০ ফুট উঁচু বাতিঘরটির উপর তারা একটি নতুন ধরনের বাতি লাগিয়েছিলেন। এছাড়াও সেসময় তিনজন বাতিঘরের দেখভাল করতেন তাদের নামও রয়েছে এতে।
চিরকুটটি পেয়ে সবাই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। বিবিসি নিউজ স্কটল্যান্ডকে সেই অনুভূতির বর্ণনা জানিয়ে মিলার বলেন, রাসেল এবং তাঁর সহকর্মীরাও নিজেদের বার্তা লেখা এরকম একটি চিরকুট বোতলের ভেতরে ভরে আগের জায়গায় রাখার পরিকল্পনা করেছেন।