তাইওয়ানের সামরিক সক্ষমতা জোরদারে ৫৭ কোটি ১০ লাখ ডলারের প্রতিরক্ষা সহায়তার অনুমোদন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার হোয়াইট হাউস থেকে এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেওয়া হয়। বাইডেন প্রশাসনের এই পদক্ষেপ তাইওয়ানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগে, মেয়াদের শেষ সময়ে এসে বাইডেন স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানের জন্য এই সামরিক সহায়তার অনুমোদন দিলেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র এখনো তাইওয়ানকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। তারপরও, ওয়াশিংটন তাইপের অন্যতম প্রধান কৌশলগত মিত্র এবং বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী। অপরদিকে, চীন তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে আসছে।
চীন গত কয়েক বছরে তাইওয়ানের ওপর রাজনৈতিক ও সামরিক চাপ বাড়িয়েছে এবং ওয়াশিংটনের প্রতি বারবার আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা দ্বীপটিকে অস্ত্র বা সহায়তা না দেয়।
তাইওয়ানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি অঞ্চলটিতে চীন বড় আকারের নৌ-মহড়া পরিচালনা করেছে। এটি গত কয়েক বছরের মধ্যে বৃহত্তম মহড়া বলে মনে করা হচ্ছে। জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে দক্ষিণ চীন সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত এই মহড়ায় চীনের প্রায় ৯০টি যুদ্ধজাহাজ অংশ নেয়। তবে চীন আনুষ্ঠানিকভাবে এই মহড়ার তথ্য প্রকাশ করেনি।
এরই মধ্যে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩৮টি উন্নত আব্রামস যুদ্ধ ট্যাংক তাইওয়ানে পৌঁছেছে। এটি ৩০ বছরের মধ্যে তাইওয়ানের সামরিক বাহিনীতে নতুন ট্যাংক যোগ হওয়ার প্রথম ঘটনা।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা অনুমোদনের পর, আজ শনিবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে—তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্র শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং তাইওয়ান প্রণালির মর্যাদা বজায় রাখতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।