জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে দুটি পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক শক্তি রয়েছে—একটি সেনাবাহিনী, আরেকটি জামায়াতে ইসলামী। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে ভারতকে সুবিধা দিয়েছে এবং ক্ষমতায় আসার জন্য ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে রংপুরের পাগলাপীরে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত এক পথসভায় ডা. শফিক এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ২০০৯ সালের ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের সহযোগিতায় পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসে। তার দুই মাসের মধ্যে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে সেনা কর্মকর্তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তিনি দাবি করেন, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে খুনিদের পালানোর সুযোগ করে দেওয়া হয় এবং হাজারো বিডিআর সদস্যকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতনের শিকার করা হয়, যার মধ্যে অনেকে কারাগারেই মারা যান।
ডা. শফিক বলেন, সেনাবাহিনীর ওপর আঘাত হেনে আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করেছে এবং জামায়াতের ওপরও নির্যাতন চালিয়েছে। তার মতে, দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা লড়াই করেছে, তাদের দমন করার উদ্দেশ্যে এই ষড়যন্ত্র। আওয়ামী লীগকে তিনি ষড়যন্ত্রকারী দল আখ্যা দিয়ে বলেন, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশকে নিজের সম্পত্তি বানানো এবং জনগণকে ভাড়াটিয়া হিসেবে দেখানো।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের স্বার্থ ভারতের কাছে ইজারা দিয়ে রেখেছিল। তবে তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের জনগণ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করত। আওয়ামী লীগ সেই পরিবেশ নষ্ট করেছে এবং সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু ভেদাভেদ সৃষ্টি করেছে।
জামায়াত আমির অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের জন্য মায়াকান্না করলেও বাস্তবে তাদের সম্পদ দখল করেছে এবং তাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে।
এ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াত নেতা মাহবুবুর রহমান বেলাল, এ টি এম আযম খান, এনামুল হকসহ অন্যান্য নেতারা।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়াতে ৫৭ কোটি ডলারের সহায়তা দিল যুক্তরাষ্ট্র