ফ্লোরিডার পাম বিচে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাসভবনের কাছাকাছি এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে প্রবাসী বাংলাদেশী-আমেরিকান হিন্দুরা অংশ নেন। এই সমাবেশে বাংলাদেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ার অভিযোগ তোলা হয় এবং তা অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের প্রশ্রয়ে এসব ঘটনা ঘটছে বলে সমালোচনা করা হয়।
হিন্দু বাঙালী সোসাইটি অফ ফ্লোরিডা ইউএসএ আয়োজিত এই সমাবেশে বাংলাদেশী হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, ইউনাইটেড হিন্দুস অফ ইউএসএ এবং অন্যান্য ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সংগঠন অংশ নেয়। সমাবেশে শতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন সঞ্জয় সাহা এবং সঞ্চালনা করেন লিটন মজুমদার। বক্তৃতায় অংশ নেন নিউইয়র্ক সিটির ডেমোক্রেটিক ডিস্ট্রিক্ট লিডার দিলীপ নাথ, শ্যামল চক্রবর্তী, বিদ্যুৎ সরকার, ভবতোষ মিত্র, শিবু চৌধুরী, সাধন সরকার, রতন মজুমদার, পীযূষ বর্ধন এবং শিবু চৌধুরী ভূপাল ধরসহ আরও অনেক সংগঠক।
বক্তারা সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে শূন্য-সহনশীলতা নীতি গ্রহণ এবং দোষীদের বিচারের আওতায় এনে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।
সমাবেশের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করা হয়, যাতে বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বন্ধে সাহায্য চাওয়া হয়। স্মারকলিপির একটি অনুলিপি জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলকেও পাঠানো হয়েছে।
সুত্রঃ বাংলা পত্রিকা