দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করেছিলেন।এই সামরিক শাসন জারি করার পিছনে দুজন কমান্ডার কে অভিযুক্ত করেছে দেশটির প্রসিকিউটররা।সমকাল পত্রিকা থেকে জানা যায় ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিদ্রোহ করার জন্য এই দুজন কমান্ডার কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই দুইজন সামরিক কর্মকর্তা হলেন পার্ক আন সু এবং বিশেষ ইউনিটের কমান্ডার কেয়াক জং জিউন।
অভিযুক্ত দুই সেনা কর্মকর্তা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তাদের বিচার কার্যক্রম শুরু হবে অতি শীঘ্রই।দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট সামরিক শাসন জারি করার পরে জনগণের তীব্র প্রতিবাদে ছয় ঘন্টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।
রাষ্ট্র বিরোধী শক্তি গুলো উৎখাত ও সাংবিধানিক সুরক্ষার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট সাময়িক শাসন জারি করেছিলেন। এই ঘটনার পরে কেয়াক জং জিউন কে সদস্যবাহিনী সহ পাঠিয়েছিলেন এবং পার্ক আন সু কে সেনাপ্রধান হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এই অভিযোগে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
১৪ ডিসেম্বর উক্ত ঘটনার পরে প্রেসিডেন্ট ইউন অভিশংসিত হন পার্লামেন্টে। বর্তমানে তাকে সামরিক বরখাস্ত করা হয়েছে।সামরিক শাসন জারি করার জন্য ইউন কে তদন্ত করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত ইউন এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরানো জারি করেছে ৩১ ডিসেম্বর। তার বাস ভবন শুক্রবার ঘেরাও করা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের ভাষ্যমতে পুলিশ ও প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা কর্মীদের সাথে সংঘর্ষ হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধী দল ইউনের নিরাপত্তা কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাকে গ্রেফতার করতে সাহায্য করতে।
প্রেসিডেন্ট ইউন টেলিভিশনে দেওয়া একটি ভাষণে বলেন জনগণের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিগুলো উৎখাত করে একটি সুন্দর রাষ্ট্র গঠন করব। তিনি আরো বলেন বিরোধী দল সাধারণ জনগণের কথা বিবেচনা না করে অভিশংসন ও তাদের নেতাকে বিচার থেকে বাঁচাতে শাসন ব্যবস্থা তে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।