ট্রাম্পের কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য বানানোর ইচ্ছা, ট্রুডোর পদত্যাগ

 

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ৬ জানুয়ারি (সোমবার) নিজের দল লিবারেল পার্টির প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানোর ইচ্ছার কথা জানান।

ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ একটি পোস্টে লিখেন, “কানাডার অনেক নাগরিক আমাদের ৫১তম রাজ্য হতে চায়। যুক্তরাষ্ট্র কানাডাকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি ও ভর্তুকির চাপ বহন করবে না, এবং জাস্টিন ট্রুডো এটি জানতেন, তাই পদত্যাগ করেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “যদি কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্ত হয়, তবে সেখানে শুল্ক থাকবে না, কর কমে যাবে, এবং তারা রাশিয়া ও চীনের জাহাজের হুমকি থেকে নিরাপদ থাকবে। একত্রে, আমরা একটি মহান জাতি গঠন করতে পারব!”

প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর, ট্রাম্প প্রথম দিনেই কানাডা থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ কর আরোপের ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার পর, ডিসেম্বরে ট্রুডো যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন, যেখানে ট্রাম্প আবারও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য করার প্রস্তাব দেন।

ট্রাম্পের মন্তব্যের পর, ডিসেম্বরের শেষে ট্রুডোকে তার দেশে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, তবে তার প্রশাসন বলেছিল, ট্রাম্প মজা করছেন। তবে ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর, ট্রাম্প আবারও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্ত করার কথা বলেছেন।

পদত্যাগের সময় ট্রুডো জানান, “প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেবা করতে পেরে আমি গর্বিত। আমি করোনার মহামারিতে মানুষের সেবা করেছি, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করেছি এবং ব্যবসার জন্য কাজ করেছি। আমি ২০১৫ সাল থেকে কানাডার স্বার্থে কাজ করছি এবং মাঝারি শ্রেণি শক্তিশালী করতে পেরেছি।”

এদিকে, ট্রুডোর পদত্যাগের পর কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করার বিষয়ে ট্রাম্পের ইচ্ছা দেশটিতে নতুন আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

ঠিকানা/এসআর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *