কেন সকালে খেতে হবে এই পাঁচটি পানীয়?

 

পেটফাঁপার সমস্যা প্রায় সবারই হয়ে থাকে, এবং এর কারণ ব্যক্তিগতভাবে ভিন্ন হতে পারে। তবে কিছু সহজ স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যেমন, রাতে খাওয়ার পর শুয়ে না থেকে কিছু নিয়ম মেনে চলা, যা অনেকেই জানলেও অনুসরণ করেন না। এর পাশাপাশি, সকালে খালি পেটে কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয় পান করলে তা পেটের জন্য বেশ উপকারি হতে পারে। রাজধানীর গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্সের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শম্পা শারমিন খান বেশ কয়েকটি কার্যকর পানীয় সম্পর্কে আলোচনা করেছেন, যা সকালে খালি পেটে পান করলে পেটফাঁপা কমাতে সহায়ক হতে পারে।

 লেবু-মধু পানি:
কুসুম গরম পানিতে এক টুকরা লেবুর রস এবং এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এটি পেটফাঁপা কমাতে কার্যকর এবং দেহকে সতেজ করে তোলে।

লেবু-কালিজিরা পানি:
কুসুম গরম পানিতে এক টুকরা লেবুর রস এবং আধা চা-চামচ কালিজিরা মিশিয়ে ১০-১৫ মিনিট ঢেকে রাখুন। এরপর এটি পান করুন। কালিজিরার দানা খেতে অসুবিধা হলে ছেঁকে নিতে পারেন।

 আদা-পানি:
পেটফাঁপার সমস্যা বেশি থাকলে আধা ইঞ্চি আদা স্লাইস করে কুসুম গরম পানিতে ১০-১৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে খালি পেটে পান করুন। এটি পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে।

 ইসবগুলের ভুসি পানি:
এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চা-চামচ ইসবগুলের ভুসি ভিজিয়ে ঝটপট খেয়ে নিন। এটি পেটফাঁপা কমাতে সাহায্য করবে।

লেবু-পানি:
সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক টুকরা লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এটি পেটের সমস্যা কমাতে এবং শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে।

 ডিটক্স পানি:
একটি ফল বা সবজি (যেমন লেবু) বড় টুকরা করে কেটে গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ১০-১৫ মিনিট পর এটি হয়ে যাবে ডিটক্স ওয়াটার, যা শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করবে।

 চিয়া বীজ পানি:
এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চা-চামচ চিয়া বীজ ভিজিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। এটি পেটফাঁপা কমাতে সহায়ক।

সকালে খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি বা উপরে উল্লেখিত যেকোনো পানীয় খেলে বেশ উপকার পাওয়া যাবে। তাই এসব পানীয় নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং পেটফাঁপার সমস্যা দূর করুন।

সূত্রঃ প্রথম আলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *