মাহফুজ আলম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা বলেছেন বৃহস্পতিবার ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটি দলিল প্রণীত হবে। সেই দিন স্পষ্ট হবে ঘোষণাপত্র কবে জারি করা হবে এবং জারি ক্ষেত্রে কিভাবে ভূমিকা রাখবে এ সম্পর্কে। এই ঘোষণাপত্রে ছাত্র জনতার প্রত্যাশা প্রতিফলিত হবে বলে আশা করছি। এ ঘোষণা দেওয়া হবে সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
মাহফুজ আলম বলেন, আমরা গত ১২-১৩ দিন ধরে আলোচনা চালিয়ে ঘোষণাপত্রের খসড়া তৈরির চেষ্টা করছি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও সবার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি, তবে বিএনপি, জামায়াত, নারী সংগঠন এবং শিক্ষক সংগঠনের মতো বড় দল ও সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে সবাই একমত হলেও কখন এটি প্রকাশিত হবে এবং এর বিষয়বস্তু কী থাকবে—সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মাহফুজ আলম আশা প্রকাশ করেন, আগামী বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠকের মাধ্যমে চূড়ান্ত ঐক্যমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
তিনি আরও জানান, বৈঠক কোথায় হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, তাঁদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে মাহফুজ আলম বলেন, খসড়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কারও সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে কথা হয়েছে। সবার ঐক্যমতের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্র তৈরি করতে পারলে জাতীয় ঐক্য বজায় থাকবে এবং এটি কার্যকর হবে।
দ্বিমতের বিষয়ে তিনি বলেন, যাঁদের দ্বিমত আছে, তাঁরা তা আমাদের জানাবেন। বিষয়গুলো এখনও স্পষ্ট নয়, তাই আলোচনা শেষে পরিষ্কার করা যাবে।
জাতীয় পার্টির প্রসঙ্গে মাহফুজ আলম বলেন, অতীতে জাতীয় পার্টির ভূমিকা আমরা দেখেছি। যেহেতু তাদের এখনো কোনো বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, তাই এই মুহূর্তে তাদের সঙ্গে আলোচনাকে যৌক্তিক মনে করছি না। বামপন্থি সংগঠনগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক বাম সংগঠন থাকলেও যারা গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে অবশ্যই আলোচনা হবে।