সম্পর্কের শুরুতে সব কিছুই আনন্দময়, একে অপরের প্রতি আকর্ষণ, বন্ধুত্ব থেকে প্রেম এবং পরবর্তী সময়ে বিয়ের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময়টা একেবারে মোহময়। কিন্তু, সম্পর্ক স্থায়ী রাখা কিংবা বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সহজ কাজ নয়। এই বিষয় নিয়ে অনেক গবেষণা আমাদের ধারণা পরিবর্তন করতে পারে। সম্প্রতি, আটলান্টার এমোরি বিশ্ববিদ্যালয় একটি গবেষণা চালিয়েছে, যেখানে ৩,০০০ জনের সম্পর্ক নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে, এবং বয়সের ব্যবধান সম্পর্কের স্থায়িত্বে কীভাবে প্রভাব ফেলে, তা গভীরভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
গবেষণার মূল ফলাফল:
- ৫ থেকে ৭ বছরের ফারাক: এই বয়সের ব্যবধানে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা ১৮%। তুলনামূলকভাবে, সমবয়সী দম্পতিদের মধ্যে সম্পর্ক বেশি স্থায়ী হতে দেখা গেছে।
- ১০ বছরের ফারাক: বয়সের পার্থক্য ১০ বছরের হলে, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি ৩৯%। তবে, গবেষণায় দেখা গেছে যে, বয়সের পার্থক্যের পাশাপাশি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যও সম্পর্কের স্থায়িত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- ২০ বছরের ফারাক: এই বয়সের ব্যবধানের ক্ষেত্রে, সম্পর্ক ভাঙার সম্ভাবনা ৯৫%। গবেষণায় এই ফলাফলকে সতর্কভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে, এবং যদি বয়সের পার্থক্য মাত্র ১ বছর হয়, তবে সম্পর্ক ভাঙার ঝুঁকি মাত্র ৩%।
গবেষণা আরও জানাচ্ছে, বয়সের ফারাক বিচ্ছেদের একমাত্র কারণ নয়। সম্পর্কের স্থায়িত্বে আরও অনেক বিষয় কাজ করে। উদাহরণস্বরূপ, বিয়ের আগে যদি সন্তানের আগমন ঘটে, তবে সেই সম্পর্কটি বেশি স্থায়ী হতে পারে। তবে, গবেষণা অনুযায়ী, বিয়ের পর সন্তানের জন্মের পরও বিচ্ছেদের হার অনেক বেশি—এতে ৫৯% সম্পর্ক বিচ্ছেদে পরিণত হয়।
গবেষণায় সবচেয়ে স্থায়ী সম্পর্কের সম্ভাবনা দেখা গেছে সমবয়সী দম্পতিদের মধ্যে। একে অপরের বয়সে সমতা থাকা মানে একে অপরের অনুভূতির সামঞ্জস্য এবং সম্পর্কের গভীরতা বৃদ্ধি পায়, যা সম্পর্কের স্থায়িত্বে বড় ভূমিকা রাখে।
ইত্তেফাক/আরআর