ফিলিস্তিনের গাজায় আজ রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কথা ছিল। তবে সেই সময় পার হলেও যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়নি। বরং ইসরায়েল গাজায় নতুন করে হামলা চালিয়েছে, যেখানে অন্তত ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আল-জাজিরার একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় উত্তর গাজায় তিনজন নিহত হয়েছেন। গাজা সিটিতে মারা গেছেন ছয়জন এবং রাফায় প্রাণ হারিয়েছেন একজন। এছাড়া, এই হামলায় ২৫ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, হামাসের কাছ থেকে জিম্মিদের তালিকা না পাওয়ায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর বিলম্বিত হচ্ছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে যেসব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল, তাদের তালিকা এখনো ইসরায়েলের হাতে আসেনি।
তিনি আরও জানান, এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীকে গাজায় হামলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলের সরকার যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর করতে বিলম্ব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ড্যানিয়েল হাগারি একটি টেলিভিশন ভাষণে বলেন, রাজনৈতিক নির্দেশনা অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আগ পর্যন্ত সামরিক অভিযান চালানো হবে। তিনি আরও জানান, হামাস যদি কোনো প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত রয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সরকার গতকাল শনিবার ভোরে যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদন করেছিল। শুক্রবার জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভাও এই চুক্তি অনুমোদন দেয়। চুক্তির মাধ্যমে গাজায় চলমান ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাতের সমাপ্তি ঘটবে বলে আশাবাদ করা হচ্ছিল।
তবে আজকের এই হামলা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। গাজায় রক্তক্ষয় বন্ধে আশা জাগালেও যুদ্ধবিরতি কার্যকরে বাধা আসায় মানুষের ভোগান্তি আরও দীর্ঘায়িত হচ্ছে।