জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে চাওয়া-পাওয়ার গুরুত্ব পরিবর্তিত হয়। শান্তি, পরিপূর্ণতা এবং সুখ খুঁজতে মানুষের মনোযোগ আরও বেশি হয়ে ওঠে। তবে সুখী হতে চাইলে অন্যদের কাছ থেকে প্রত্যাশা কমানোর দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। অন্যদের কাছে অতিরিক্ত আশা করা আমাদের অপ্রয়োজনীয় হতাশার কারণ হতে পারে। আসুন, দেখে নেওয়া যাক কী ধরনের প্রত্যাশা অন্যদের কাছে রাখা উচিত নয়:
কেউ আপনার মনের কথা পড়বে, এমন আশা করা বন্ধ করুন
অনেকেই মনে করেন, আমাদের মনের কথা মানুষ সহজেই বুঝে ফেলবে। কিন্তু সত্যি হলো, কেউ আপনার মনের কথা পড়তে পারে না। তাই, আপনার যা প্রয়োজন, সেটা স্পষ্টভাবে বলুন—সাহায্য, মনোযোগ বা সহানুভূতি যাই হোক, আপনার চাহিদাগুলো পরিষ্কারভাবে প্রকাশ করুন।
অন্যদের কাছ থেকে পারফেক্টনেস আশা করা বন্ধ করুন
এটা একদমই ভুল, যে অন্যরা নিখুঁত হবে। প্রত্যেকেরই কিছু ত্রুটি রয়েছে এবং তারা ভুল করে—এটাই মানুষের প্রকৃতি। সুতরাং, অন্যদের নিখুঁত করার চেষ্টা না করে তাদের বৈচিত্র্য এবং অসম্পূর্ণতাকে গ্রহণ করুন। এগুলোই তাদের আরও বিশেষ করে তোলে।
মানুষ সর্বদা আপনার জন্য প্রস্তুত থাকবে, এমন আশা করা বন্ধ করুন
এখনকার পৃথিবীতে কেউই সারাক্ষণ আপনার জন্য উপলব্ধ থাকবে না। প্রত্যেকেরই নিজস্ব কাজ, পরিবার এবং ব্যক্তিগত সময় থাকে। যখন আপনি আশা করতে শুরু করবেন যে কেউ সারাক্ষণ আপনার জন্য ফ্রি থাকবে, তখন সম্পর্কগুলো আরও স্বাস্থ্যবান ও পরিপূর্ণ হবে। অন্যদের ব্যক্তিগত স্পেস দিন, এতে উভয়ই উপকৃত হবেন।
মানুষ সবসময় আপনার দৃষ্টিভঙ্গী বুঝে ফেলবে, এমন আশা করা বন্ধ করুন
প্রত্যেকেরই বিভিন্ন অভিজ্ঞতা এবং পটভূমি রয়েছে। সুতরাং, অন্যদের আপনার দৃষ্টিভঙ্গী বুঝতে বা মেনে নেওয়ার আশা করা ঠিক নয়। এর পরিবর্তে, পার্থক্যগুলোকে শেখার ও বেড়ে ওঠার সুযোগ হিসেবে দেখুন। যখন আপনি বুঝবেন যে প্রতিটি দৃষ্টিভঙ্গী বৈধ, তখন মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা সহজ হবে।
অন্যরা আপনাকে খুশি করবে, এমন আশা করা বন্ধ করুন
এটি একটি বড় ভুল ধারণা। আমরা প্রায়ই আমাদের সুখের জন্য অন্যদের ওপর নির্ভর করি—বন্ধুবান্ধব, পরিবার বা আপনজনদের ওপর। তবে আসল বিষয় হল, সুখ আপনি নিজে তৈরি করবেন। অন্যদের উপর নির্ভরশীলতা আপনাকে কখনই পূর্ণ সুখ দেবে না। তাই, নিজের আনন্দের দিকে মনোযোগ দিন এবং এমন কাজ করুন যা আপনাকে শান্তি দেয়।
এই সতর্কতাগুলোর মাধ্যমে, আপনি আরও স্বচ্ছন্দ এবং শান্তিপূর্ণ জীবন উপভোগ করতে পারবেন।
— ইত্তেফাক/পিএস