বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নরসহ ১৪ জনের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায়।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয় হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে। তবে মামলায় চুরির ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলার তদন্ত শেষ করতে পারেনি, তাই এখন তদন্তের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আবেদন করেছে।
সিআইডি জানিয়েছে, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানসহ ১৪ জনের নাম এসেছে। তাঁদের মধ্যে চারজনের পরিচয় ইতোমধ্যেই পাওয়া গেছে, এবং তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, এই ঘটনা দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ। তাঁর মতে, সাবেক সরকার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে একটি সাজানো মামলা করেছে এবং সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে, যেখানে কৌশলে চুরির ধারা যুক্ত করা হয়, যদিও মূল ঘটনা ছিল হ্যাকিং।
এ বিষয়ে, দুদক ৩১ ডিসেম্বর সিআইডির কাছে একটি চিঠি পাঠায়, তবে সিআইডি এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ইতিমধ্যে ৩৪ শতাংশ অর্থ ফেরত পাওয়া গেছে, তবে বাকি টাকা ফিলিপাইনের একটি ব্যাংকে জমা রয়েছে, এবং বাংলাদেশ ব্যাংক বর্তমানে সেই টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য মামলা করছে। তদন্তে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবহেলার কারণে হ্যাকাররা রিজার্ভ চুরি করতে সক্ষম হয়েছিল।
এ বিষয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নুরুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব হস্তান্তরের আগে অ্যাটর্নি জেনারেলের পরামর্শ নেওয়া উচিত, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে তদন্ত সঠিকভাবে হয়েছে কি না।
সূত্রঃ প্রথম আলো