ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের পাকুড়িয়া-বরামপুর গ্রামের বাসিন্দা একটি পরিবার খেজুরের রস পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরিবারের নারী ও শিশুসহ ৫ জন বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন আয়েশা খাতুন (৫৫), শিল্পী খাতুন (২৮), প্রিয়া খাতুন (২৬), ইফাত রহমান (১২) এবং আবরার আদিব (৬)। তারা ইদ্রিস আলীর পরিবারের সদস্য, যার মধ্যে স্ত্রী, তিন সন্তান এবং ভাইয়ের স্ত্রী অন্তর্ভুক্ত।
ইদ্রিস আলী জানান, ১৯ জানুয়ারি সকালে পরিবারের সদস্যরা খেজুরের রস পান করেছিলেন। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রথমে ২ জনের বমি, পাতলা পায়খানা, কাঁপুনি এবং জ্বর-সর্দি-কাশি শুরু হয়। রাত ১টার দিকে অন্য ৩ জনেরও একই উপসর্গ দেখা দেয়। ২০ জানুয়ারি ভোরে তাদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে স্যালাইন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে অবস্থার উন্নতি না হলে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে আক্রান্তরা অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং তারা ধারণা করছেন, খেজুরের রস থেকে ফুড পয়জনিংয়ের কারণে এই সমস্যা হয়েছে।
ঈশ্বরদী হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সঞ্জিব বণিক জানান, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সাধারণত জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টের সাথে বমি ও পাতলা পায়খানা দেখা দিতে পারে। তবে নিপাহ ভাইরাসের নিশ্চিততা পেতে ঢাকা থেকে রক্ত পরীক্ষা করানো প্রয়োজন, তাই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না যে তারা নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল কিনা।
— ইত্তেফাক/এএইচপি