মোদি সরকারের আকস্মিক অভিবাসন বিল উদ্দেশ্য কী

ভারতের মোদি সরকার সংসদের বাজেট অধিবেশনে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স বিল আনতে চলেছে যার মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর করা হবে। একই সঙ্গে ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি সংক্রান্ত বিলও পেশ করা হচ্ছে যা মুসলিমদের ধর্মীয় সম্পত্তির ওপর সরকারের হস্তক্ষেপ বাড়ানোর পথ খুলে দিতে পারে। বিরোধীদের অভিযোগ, এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য ধর্মীয় মেরুকরণকে তীব্র করা, বিশেষ করে বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটব্যাংকে প্রভাব ফেলতে।

নতুন অভিবাসন বিল পাস হলে ফরেনার্স অ্যাক্ট, ১৯৪৬, পাসপোর্ট (এন্ট্রি ইনটু ইন্ডিয়া) অ্যাক্ট, ১৯২০, এবং রেগুলেশন অব ফরেনার্স অ্যাক্ট, ১৯৩৯ বাতিল করে একটি একীভূত কঠোর আইন কার্যকর হতে পারে। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে আসা অভিবাসী ও রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ করাই এর মূল লক্ষ্য। তবে বিরোধীদের আশঙ্কা, এই বিলের মাধ্যমে বিশেষভাবে মুসলিম সম্প্রদায়কে নিশানা করা হবে।

সংসদের বাজেট অধিবেশন আজ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণের মাধ্যমে শুরু হয়। অধিবেশন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “গত দশ বছরে এবারই প্রথম কোনো বিদেশি শক্তি সংসদ অধিবেশনের আগে অশান্তি তৈরি করতে পারেনি।” যদিও তিনি নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি, বিশ্লেষকদের মতে, অতীতে রাফাল, পেগাসাস, আদানি কেলেঙ্কারি নিয়ে বিতর্কের মতো বিষয়গুলোর আগে থেকেই সংসদকে উত্তপ্ত করা হয়েছে।

বিরোধীদের মতে, এই বিল দুটি পাস হলে বিজেপি সরকার সাম্প্রদায়িক বিভাজন আরও বাড়িয়ে তুলবে, যা ভারতের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতিতে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *