আসস্মিক ভাবে লন্ডনে অবস্থানরত মার্কিন দূতাবাস বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্যে সন্দেহভাজন বস্তু পাওয়া গেছে মার্কিন দূতাবাসের বাইরে। ২২শে নভেম্বর শুক্রবার লন্ডনে এই ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলে গিয়ে লন্ডনের পুলিশ প্রশাসন সন্দেহজনক বস্তুটি উদ্ধার করে।
লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ জানাই উদ্ধারকৃত বস্তুটি তারা দূরে নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই দূতাবাসের অবস্থান থমাস নদীর দক্ষিণ পাশে সুরক্ষিত এলাকা নাইন এলমসে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ লন্ডনে অবস্থানরত মার্কিন দূতাবাস এ বিষয়টি নিয়ে একটা বিবৃতি দিয়েছেন।
বিস্ফোরণ ঘটনোর পর নিরাপত্তা কর্মীরা মার্কিন দূতাবাসের আশেপাশের স্থান ঘিরে রেখেছেন। লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ জানাই বিস্ফোরণের যে শব্দটি পাওয়া গেছে তা পুলিশের ঘটানো এবং অগ্নি নির্বাপক সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন এবং সন্দেহজনক বস্তুটি নিয়ে তদন্ত চলমান।
অন্যদিকে তদন্ত চলমান বৃটেনের দ্বিতীয় ব্যস্তময় গ্যাটউইক বিমানবন্দরের দক্ষিণ টার্মিনাল নিয়ে।বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ওই অংশটি দক্ষিণ টার্মিনালের খালি করে দেয়া হয়েছে। সকল যাত্রীকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছানো হয়েছে এবং নতুন কোন যাত্রীকে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে নিরাপত্তা কর্মী এবং যাত্রীর সুরক্ষা আমাদের সর্বোচ্চ অধিকারের বিষয়। এছাড়াও তারাও আরো বলেছেন তারা কঠোর পরিশ্রম করেছেন বিষয়টি সমাধান করার জন্য।
তবে নিরাপত্তা নিয়ে কোন বিবৃতি দেননি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বা লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ। টাইমস অফ ইন্ডিয়া থেকে জানা যায় এই বিষয়টি নিয়ে অনেক জল্পনা তৈরি হচ্ছে এবং জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
কিয়েভে বিমান হামলায় সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পরে বুধবার সেটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।ইউক্রেনের নাগরিকদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয় দ্রুত আশ্রয় নেয়ার জন্য। এই ঘটনার কয়েক দিন পরেই মার্কিন দূতাবাসে এমন ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনা সম্পর্ক যুক্ত কিনা তা এখনো স্পট না।