ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হওয়ার পর বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ক্যারিয়ারে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। আপাতভাবে নিষেধাঞ্জা শুধু ঘরোয়া ক্রিকেট মনে হলেও নিয়ম বলছে সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা। আইসিসি’র ধারায় বলা হয়েছে যদি কোন ফেডারেশন কোন বোলারকে নিষিদ্ধ করে তা আমলে নিতে পারে আইসিসিও। যদিও সাকিবের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে রেফারেল টেস্টে সমস্যা হবে না তার।
এক ম্যাচে ৯ উইকেট শিকার করে ইংল্যান্ডের কাউন্টিতে সাকিব আল হাসানের প্রশংসা ঝড়েছে ক্রিকেট প্রেমীদের কণ্ঠে। বিপত্তি বাঁধে ভিন্ন জায়গায়। তার বোলিং অ্যাকশনে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলো খেলার আম্পায়াররা।তাই দেওয়া হয়েছে পরীক্ষাও। উক্ত পরীক্ষায় উতরাতে পারলেন না সাকিব। বোলিং অবৈধ হওয়ায় নিষিদ্ধ হয়েছেন ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কতটুকু প্রভাব ফেলবে তার এই নিষেধাজ্ঞা।
আইসিসি’র ইলিগ্যাল বোলিং অ্যাকশনের ১১.৩ ধারায় বলা হয়েছে, একটি জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশন যদি কোনো বোলারকে তাদের নিজস্ব নীতিমালার অধীনে, ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করে এবং সেই নিষেধাজ্ঞা যদি স্বীকৃত পরীক্ষাগারে মানসম্মত বিশ্লেষণ-বিধি অনুযায়ী করা হয়, তাহলে সেই নিষেধাজ্ঞাকে আইসিসি আমলে নেবে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরোপ করবে।
অর্থাৎ কোন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে বা কোন দেশের আয়োজনে সাকিব খেলতে চাইলে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড এই অলরাউন্ডারকে নিষিদ্ধ করতে পারবেন। কিন্তু রাজনৈতিক দোলাচলে, নিরাপত্তাজনিত কারণে বাংলাদেশে আসতে পারছেন না সাকিব। তাছাড়া টি-20 অবসর আর টেস্ট ক্যারিয়ারটাও প্রায় শেষ। চোখের সমস্যার কারণে দীর্ঘ ১ বছর ব্যাট হাতে ঝলক দেখাতে পারছেন না সাকিব। আর এবার অবৈধ প্রমাণিত হলো তার বোলিং অ্যাকশন। প্রশ্ন জেগেছে এখানেই কি থামছে সাকিবের ক্রিকেট ক্যারিয়ার?
লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় ১৫ ডিগ্রি বেশি বেঁকে গিয়েছিলো সাকিবের কনুই। যার ফলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েন সাকিব। সেটি থেকে মুক্ত হতে ভারতের চেন্নাইতে আরও একবার পরীক্ষায় বসার পরিকল্পনা রয়েছে এই অলরাউন্ডারের। যেখানে আশাই করছেন তিনি।
তবে সব কিছু মিলিয়ে আপাতত ক্যারিয়ারের শেষ সময়টা অনিশ্চয়তায় মধ্য দিয়েই যেতে হবে দেশের ক্রিকেটের এই পোস্টারবয়কে।।