আয়রন এমন একটি খনিজ যা আমাদের রক্ত প্রবাহিত রাখে এবং আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই এই আয়রন আমাদের শরীরের জন্য অধিক হারে প্রয়োজন। শরীরে এই আয়রনের ঘাটতি থাকে বেশি নারীদের কিন্তু বর্তমানে শুধু নারীরা না পুরুষের শরীরে আয়রনের ঘাটতি লক্ষ্যণীয় মাত্রায় বাড়ছে।
আয়রনের ঘাটতি জনিত বিষয় নিয়ে নিউট্রিশনিস্ট মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম সজল (থাইরোকেয়ার বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল) বলেন একটা সময় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমস্যার দরুন প্রচুর খাদ্যের ঘাটতি ছিল কিন্তু বর্তমানে খাদ্যের ঘাটতি কমলেও আমরা সকলের জন্য সঠিক পরিমাণ ক্যালরি গ্রহণ নিশ্চিত করতে পারছিনা।যার ফলে এখনো আমাদের দেশের অধিকাংশ লোক ভিটামিন এ এবং আয়োডিন জনিত ঘাটতিতে ভুগছেন।
আমাদের দেশের অধিকাংশ নারীরা এই আয়রনের স্বল্পতায় ভুগছেন। আর এই আয়রন স্বল্পতার কারণে আমাদের দেশের অধিকাংশ নারীরা রক্তস্বল্পতা জনিত শারীরিক দুর্বলতায় ভোগে। নিউট্রিশনিস্ট আরিফুল ইসলাম সজল আরো বলেছেন বর্তমানে শুধু নারীরাই নয় পুরুষরাও অধিক পরিমাণে আয়রন স্বল্পতায় ভুগছেন। আর যার অন্যতম কারণ হলো অধিক হারে ধূমপান এবং অধিক হারে চা ও কফি জাতীয় পানীয় পান করা।
সিগারেট এবং কফি বা চা হলো আয়রন ব্লকার। আর এই সিগারেট ও চা কফি অধিক হারে গ্রহণের কারণে পুরুষদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে এবং তারা ও নারীদের মতো বর্তমানে অধিকারে রক্তস্বল্পতায় ভুগছে।
আর আয়রনের সমস্যা বা আয়রন ঘাটতি শুধুমাত্র রক্তস্বল্পতার কারণ নয় এটি সরাসরি আমাদের স্মৃতি শক্তির উপর প্রভাব ফেলে।
১৯৭০ সালের দিকে আমাদের দেশের অধিকাংশ লোকের আয়োডিন ও ভিটামিনের অভাবে ভুক্ত।
বর্তমান ভিটামিন ডি এবং আয়রনজনিত ঘাটতিতে ভুগছেন দেশের অধিকাংশ লোক। বিশেষ করে ছোট শিশুরা ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত সমস্যা এবং নারী, পুরুষ উভয়েই আয়রন জাতীয় সমস্যায় ভুগছেন।
আর এর প্রধান কারণ হলো আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য অভ্যাস।তাই আমাদের শরীরে এ সকল উপাদানের ঘাটতি মেটাতে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে।বিশেষ করে পুরুষদের অধিকারের ধূমপান এবং চা ও কফি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।