বিশ্বের মধ্যে ঢাকা বায়ু দূষণে শীর্ষ অবস্থানে উঠে এসেছে। গত জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বিশ্বের বায়ু বিষয়ক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এয়ার ভিজ্যুয়াল এর বায়ুমান সূচক ( একিউআই) হতে তথ্য পাওয়া যায়।
একিউআই এর তথ্য অনুযায়ী বায়ু দূষণের মাত্রা ঢাকায় আগে ছিল ২৪১ যা বর্তমানে ২৬৯ রেকর্ড করা হয়েছে। অর্থাৎ বাতাসের মাত্রা অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এছাড়াও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীনের উহান শহর ও কাজাকিস্তানের নুর সুলতান শহর। এদের দূষণের মাত্রা ২৩১ ও ২২৯।
যে সকল পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে বায়ু দূষণ রোধে
- পরিকল্পিতভাবে কল করখানা নির্মাণ করতে হবে এবং ধোয়া কমিয়ে আনতে হবে।
- শহরের বাইরে কলকারখানাগুলো নির্মাণ করতে হবে।
- যথাসম্ভব উন্নত জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে।
- ট্রাফিক জ্যাম নিরশন করতে হবে।
- প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ গাছ বায়ু দূষণ রোধে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
- এয়ারকন্ডিশন কম ব্যবহার করতে হবে।
- অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটা বন্ধ করতে হবে এবং সেখানে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ করার উদ্যোগ নিতে হবে।
- আবাসিক এলাকা ও বাড়িঘর গুলো পরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করতে হবে এবং ওখানে পুকুর ও উদ্যান গড়ে তুলতে হবে।
- নির্মাণ কাজগুলো পরিকল্পনা অনুযায়ী করতে হবে যাতে সেগুলো দূষণের কারণ না হয়।
- নির্মাণ স্থান ও নির্মাণ সামগ্রী গুলো ঢেকে রাখতে হবে।
- খরা মৌসুমে দূষিত শহরগুলোতে দুই তিন ঘন্টা পর পর পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়াও জলধর সংরক্ষণ ও ছাদ বাগান করা এবং প্রচুর পরিমানে গাছ লাগাতে সবাইকে উৎসাহিত করতে হবে।