সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ৯ বছরের শিশু নুসরাত জাহান হত্যাকাণ্ডে রেজোয়ান কবির ওরফে জনি (২২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নেশার টাকার জন্য কানের দুল ছিনতাই করতে গিয়ে তিনি নুসরাতকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
শনিবার দুপুরে আশাশুনির আগরদাড়ি গ্রামের একটি পুকুরপাড় থেকে নুসরাতের লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ রোববার রেজোয়ানকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার বিকেলে সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে রেজোয়ান ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
তদন্ত কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানা যায়, ঢাকার একটি লিফট কোম্পানিতে চাকরি হারিয়ে কয়েক মাস আগে রেজোয়ান গ্রামের বাড়িতে ফেরেন এবং অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। টাকা জোগাড় করতে তিনি প্রতিবেশী নুসরাতের কানে থাকা সোনার দুল ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন।
ঘটনার দিন সকালে নুসরাতকে বাড়ির সামনে থেকে ডেকে নিয়ে পুকুরপাড়ের হলুদখেতে নিয়ে যান রেজোয়ান। দুল খুলতে গেলে নুসরাত বাধা দিয়ে সব জানিয়ে দেওয়ার কথা বললে তিনি শ্বাসরোধে হত্যা করেন এবং লাশ গোপন করতে হাত-পা বেঁধে পুকুরপাড়ে ফেলে দেন।
এ ঘটনায় ছিনতাই হওয়া দুলের ক্রেতা পলাশ জুয়েলার্সের মালিক অজয় পাইনও আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি জানান, রেজোয়ান শনিবার বিকেলে দুই আনা ওজনের দুল তাঁর কাছে ৯ হাজার টাকায় বিক্রি করেন এবং মায়ের বলে পরিচয় দেন। কয়েক মাস আগেও রেজোয়ান তাঁর মায়ের অন্য একটি দুল বিক্রি করেছিলেন বলে জানান তিনি।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্ত চলছে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রেজোয়ান হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।