দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিজ মাঠে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডোবালেন পাকিস্তান।ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে প্রোটিয়াদের ৩৬ রানে পরাজিত করেছে সফরকারীরা।
রোববার, ২২ ডিসেম্বর জোহানেসবার্গে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ কমে দাঁড়ায় ৪৭ ওভারে। সাইম আইয়ুবের শতকের সাথে বাবর-রিজওয়ানের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ৪৭ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৩০৮ রান তোলে পাকিস্তান। জবাবে ৫ ওভার আগেই ২৭১ রানে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা।
আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার সাইম আইয়ুবের শতকে দুর্দান্ত সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। ৯৪ বলে ১০১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন সাইম। তার ব্যাট থেকে আসে ১৩টি চার ও ২টি ছক্কা একেকটি দৃষ্টিনন্দন শট।
কিন্তু বিপরীত প্রান্তের ওপেনার আবদুল্লাহ শফিকের ব্যাট হাসেনি এদিন। বাবর আজম ৭১ বলে ৫২ রান করেন। অর্ধশতক তুলে নেন রিজওয়ানও। ৫২ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন পাকিস্তানি অধিনায়ক।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ৫৬ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট তুলে নেন কাগিসো রাবাদা। ২টি করে উইকেট নেন মারকো জানসেন ও বিয়র্ন ফুরচুইন। ১টি করে উইকেট নেন কোয়েনা মাফাকা ও করবিন।
ডি-এল মেথডে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় দাঁড়ায় ৪৭ ওভারে ৩০৮ রানই। দল হেরে যাওয়ায় বৃথা হয় হেনরিখ ক্লাসেনের ব্যাট হাতে দুরন্ত লড়াই।
ক্লাসেন ৪৩ বলে ৮১ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। এছাড়া স্বাগতিকদের পক্ষে টনি ডি’জর্জি ২৬, রাসি ভ্যান ডার দাসেন ৩৫, মারকো জানসেন ২৬, করবিন ৪০ করলে ২৭১ রানে শেষ হয় দ. আফিকার ইনিংস।
ক্লাসেন আউট হন শাহিন শাহ আফ্রিদির হাতে।
পাকিস্তানের পক্ষে ৫২ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন সুফিয়ান মুকিম। তাছাড়া ২টি করে উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি ও নাসিম শাহ।
ম্যাচ ওনসিরিজসেরা উভয়ই ক্রিকেটারের পুরস্কার ওঠে সাইম আইয়ুবের হাতে।
উল্লেখ্য, এর আগে বিশ্বের কোনো দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি। অর্থাৎ, প্রোটিয়ারা এর আগে নিজেদের ডেরায় অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজের সব ম্যাচ হারেনি। এবার বাভুমার দলকে হারিয়ে সেই কীর্তি গড়লো শাহিন-বাবররা।
ছবি:ইন্টারনেট