সবচেয়ে বড় সাফল্য-ব্যর্থতা কি ছিল কার্টারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে

রবিবার বিকালে যুক্ত রাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট কার্টার ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। এসব তথ্য এএফপি বার্তা সংস্থা হতে পাওয়া গেছে। কার্টারের মৃত্যুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বাইডেন সহ অনেকজন শোক প্রকাশ করেছেন।কার্টারের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে।

১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত জিমি কার্টার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছিলেন।ক্যাম্প ডেভিড শান্তি চুক্তি ছিল জিমি কার্টারের প্রেসিডেন্ট থাকাকালী সবচেয়ে বড় সাফল্য। তবে কার্টার কে মার্কিন ভোটাররা দুর্বল প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিবেচিত করেছিল।
কার্টারের কয়েকটি পদক্ষেপ

ক্যাম্প ডেভিড শান্তি চুক্তি

তৎকালীন মিশরের প্রধানমন্ত্রী ও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী কে ১৯৭৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্প ডেভিড এ আমন্ত্রণ জানান কার্টার।১৩ এর গোপন আলোচনায় মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ফেরাতে দুটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পরবর্তীতে কার্টারকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সময় এই চুক্তি কে কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে।

পানামা খাল

কার্টার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি পানামা খাল পানামার কাছে হস্তান্তর করেন। এই খালটি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর কাছে রক্ষিত ছিল। ১৯৭৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পানামা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় কার্টার ও পানামার জাতীয়তাবাদী নেতার সাথে। ১৯৯৯ সালে পানামা খাল হস্তান্তরিত হয় চুক্তি মতে।এই চুক্তির ফলে কার্টার কে নিজ দেশে উপহাসের শিকার হতে হয়েছিল।

রাজনৈতিক ইতিহাসে নৈতিকতা

পূর্বসূরীদের মত অনৈতিক রাজনৈতিক চর্চা থেকে কার্টার দূরে ছিলেন। তিনি তার প্রশাসনে মানবাধিকার কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন।

ইরান জিম্মি সংকট

১৯৭৯ সালে ইরানে জিম্মি সংকটে সৃষ্টি হয়। এটি ১৯৮১ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়।ওই সময়ে ইরানের দূতাবাসে ৫০ জন আমেরিকান কে ৪৪৪ দিন জিম্মি করে রাখা হয়। কার্টার সামরিক অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *