সিরিয়ার নারীদের বিষয়ে মন্ত্রীর মন্তব্যে সমালোচনা

 

সিরিয়ার নারীদের সম্পর্কে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের নারীবিষয়ক মন্ত্রী আয়শা আল-ডিবসের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রোববার তাঁর মন্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে广 انتشار লাভ করে এবং অনেকেই তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

৮ ডিসেম্বর, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর, বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে দেশটিতে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। মন্ত্রিসভায় একমাত্র নারী সদস্য হিসেবে যোগ দেন আয়শা।

তুরস্কের সম্প্রচারমাধ্যম টিআরটি আয়শার কাছে সিরিয়ায় নারীবাদী সংগঠনগুলোর কার্যক্রম চালানোর সুযোগ নিয়ে প্রশ্ন তেলে। এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘যদি আমাদের পরিকল্পনা এবং মডেল তাদের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তবে তাদের স্বাগত জানানো হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যারা আমার চিন্তার সঙ্গে একমত নন, তাদের জন্য আমি পথ উন্মুক্ত করে দেব না।’’

আয়শা সিরিয়ার নারীদের একই টেবিলে বসে মডেলটি পর্যালোচনা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘‘আমরা এমন একটি মডেল বাস্তবায়ন করতে চাই, যা সিরীয় সমাজের জন্য উপযুক্ত এবং সিরীয় নারীরা সেটি বাস্তবায়ন করবেন।’’

নারীদের ভূমিকা এবং অধিকারের প্রতি সমর্থন জানাতে তিনি বলেন, ‘‘কেন একটি চাপিয়ে দেওয়া মডেল গ্রহণ করতে হবে? আমরা এমন একটি মডেল চাচ্ছি, যা আমাদের সমাজের জন্য উপযুক্ত।’’

সিরিয়ার সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নারীদের উদ্দেশ্যে আয়শা বলেন, ‘‘আমরা সবাই সমান।’’

এছাড়া, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নারীদের সরকারি চাকরিতে আবেদন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি নারীদের সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত প্রকৃতির বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি, তিনি নারীদের পরিবারে শিক্ষার ভূমিকা নিয়ে চিন্তা করতে বলেন।

তবে, আয়শার এই মন্তব্য অনেকের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। ফেসবুকে বাতরা আবো আলজাদায়েল লিখেছেন, ‘‘আপনি আপনার চিন্তা ঘরে রেখে বলুন, কিন্তু আমাদের ঘরে এসে এসব চাপিয়ে দেবেন না।’’

অন্যদিকে, অভিনেত্রী আলিয়া সাইদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘‘আমরা বাস্তুচ্যুত, আমাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে, এবং এখন আপনি আমাদেরকে বলতে চান কী করা যাবে আর কী হবে না?’’

এমন পরিস্থিতিতে কিছু সিরীয় নাগরিকের আশঙ্কা, নতুন সরকার ধর্মীয় শাসনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে, যা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং নারীদের জন্য আরও কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে।

এ বিষয়ে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শিবানি জানিয়েছেন, সিরিয়ার সরকার নারীদের অধিকারকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে তাদের পাশে থাকবে।

সূত্রঃ প্রথম আলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *