বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির জুলাই-অগাস্টের গণ-অভ্যুত্থানে রাজপথে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপে সহযোদ্ধার মতো ভূমিকা পালন করেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, শিবিরের কর্মীরা অভ্যুত্থানের শুরু থেকে একাধিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং তাদের সহায়তা শিবিরের সদস্যরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পেয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রশিবিরের সদস্য সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকালে সারজিস আলম বলেন, “সত্য কখনো চেপে রাখা যায় না। শেষ পর্যন্ত তা প্রকাশিত হয়, আর তা সময়ের ব্যাপার মাত্র।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সারজিস আলম আরও বলেন, “গত ১৬ বছরে খুনি শেখ হাসিনা যাকে ‘পটেনশিয়াল থ্রেট’ হিসেবে দেখেছিল, তাদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার ও হামলা চালিয়ে চলেছে। নিরপরাধ মানুষ ও আলেম-ওলামাদের শুধুমাত্র সম্ভাব্য হুমকি মনে করে জেলখানায়, মামলায় এবং হামলা-নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য সংগঠন ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বেঁচে থাকা খুনি শেখ হাসিনার জন্য কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে বর্তমান প্রজন্মের বিবেকবোধের কারণে তাকে এই দেশ থেকে বিতাড়িত করা সম্ভব হয়েছে।”
ছাত্রশিবিরকে কাজের মাধ্যমে আরও বৃহত্তর গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের আহ্বান জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, “আমাদের দেশের মানুষের কল্যাণই প্রথমে, এরপর আসে ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও দল। ২৪-এর অভ্যুত্থানে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি, এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাব।”
ছাত্রশিবিরের সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের আমির শফিকুর রহমান। সম্মেলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃ প্রথম আলো