দক্ষিন কোরিয়ায় বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটি তে ছয় ক্রু ১৭৫ যাত্রী নিয়ে গত ২৯ ডিসেম্বর সকালে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরনের সময়, রানওয়েতে দেয়ালের সাথে ধাক্কা লেগে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। মাত্র ২ জনকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়,বাকি সবাই নিহত হয়েছে।
বিধ্বস্ত হওয়ার কয়েক মিনিট আগে
জানা যায়, কোরিয়ার সময় সকাল ৮ টা ৫৪ মিনিটে বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল উড়োজাহাজটি কে রানওয়েতে ০১-এ অনুমতি দেয়, যা উওরের ১০ ডিগ্রি পূর্বে অবস্থিত।
মিনিট কয়েক পর ৮টা ৫৭ তে এয়ার কন্ট্রোল থেকে উড়োজাহাজটিকে “পাখি নিয়ে” সতর্ক করে।২ মিনিট পর ৮টা ৫৯ মিনিটে উড়োজাহাজের পাইলট পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করে।সঙ্গে সঙ্গে জরুরি অবস্থা জারি করে, মেডে মেডে বলে এবং “পাখির সংঘর্ষ, পাখির সংঘর্ষ, গো এরাউন্ড” বলে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি,তবে ফায়ার সার্ভিসের ধারণা পাখি কিংবা আবহাওয়া জনিত কারনে হতে পারে।
এক মিনিট পরই সকাল ৯টায় ফ্লাইটি রানওয়ে ১৯-এ অবতারনের অনুমতি দেয়। নয় টা ১ মিনিটে এয়ার এয়ার ট্রাফিক কনট্রোল রানওয়ে ১৯-অনুমতি দেয়। নয় টা ২মিনিটে ফ্লাইটটি দুই হাজার আটশত মিটার রানওয়ের ১২শ মিটার পয়েন্ট রানওয়ের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে।
সকাল নয় টা ২ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডে এয়ার কন্ট্রোল এয়ারপোর্ট ফায়ার রেসকিউ টিম “ ক্র্যাশ বেল” সতর্ক করে। নয়টা ২ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডে বিমানবন্দরের ফায়ার রেসকিউ সরঞ্জাম মোতায়ন করে। নয়টা ৩মিনিটে ফ্লাই ৭সি ২২১৬ রানওয়ে ওভার শুট করার পরে বাঁধের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়। এবং দুজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
কী করে হলো এই দুর্ঘটনা?
দ.কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দর থেকে জানা গেছে, রানওয়ে অবতরনের সময় ল্যান্ডিং গিয়ারের অনুপস্থিতি ২ ইঞ্জিনবিশিষ্ট ৭৩৭-৮০০ বোয়িংয়ের বেলী-ল্যান্ডিং সম্ভবত আবহাওয়া অথবা পাখির আঘাতে জন্য বিমান বিধ্বস্ত দুর্ঘটনা ধারনা করা হয় ।
বিষয়টি এখন তদন্ত করে পুরো বিষয়টি জানার চেষ্টা চলছে,শেষ কয়েক মিনিটে ঠিক কি ঘটেছিলো ফ্লাইট ৭সি২২১৬এ তা দক্ষিণ কোরিয়ার এয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং ফায়ার কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেছে।
এখন পর্যন্ত সঠিক তথ্য জানা যায়নি।
> সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ কোরিয়া গভীর রাজনৈতিক সংকটে মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, এক মাসের মধ্যে দেশটি ৩ জন প্রেসিডেন্ট দেখা গেলো।বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রসিডেন্ট চোই সাং মক দায়িত্বের ৩দিনের মাথায় এই বিমান বিধ্বস্ত দুর্ঘটনা ঘটে, উদ্ধার অভিযান ও অন্যান্য করনীয় সহ সদস্য বৈঠকে ৭ দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।