আমেরিকার উচ্চশিক্ষার বর্তমান অবস্থা

আমেরিকার বিশিষ্ট পন্ডিত রাশিদ খালিদি সম্প্রতিকালে এক সাক্ষাৎকারে আমেরিকার উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এডওয়ার্ড সাইদ চেয়ার পদ থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে খালিদি ব্যাখ্যা করেন যে,তিনি আর এই ব্যবস্হার অংশ হতে চান না।

খালিদি মতে,আমেরিকার উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলি ধীরে ধীরে শিক্ষার আদর্শ থেকে দূরে সরে গিয়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, “আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা যেভাবে শুধু নগদ অর্থ উপার্জনের যন্ত্রে রূপান্তরিত হয়েছে, তা দেখে আমি হতাশ এবং আতঙ্কিত।

উচ্চশিক্ষা এখন কেবল টাকা কামানোর,এমবিএ,আইনজীবী দ্বারা পরিচালিত হেজ ফান্ড-কাম-রিয়েল এটেস্ট ব্যবসা। এখানে টাকাই সবকিছু নির্ধারণ করে। বিদ্যা ও জ্ঞানের প্রতি এর সম্মান তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।”

ট্রাম্পের সহপ্রার্থী,ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক জেডি ভ্যান্স,বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের শত্রু বলে চিহ্নিত করে তাদের উপর আক্রমণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

ট্রাম্পের বিস্তৃত কাঠামো ইতিমধ্যেই হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের নীলনকশা ‘প্রকল্প ২০২৫’-এ উঠে এসেছে। পরিকল্পনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি নীতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে।

সেখানে প্রাধান্য পাবে বিশ্বাসভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রকল্প ২০২৫ ঋণ মওকুফ কর্মসূচি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।

উচ্চশিক্ষার জন্য ট্রাম্পের নির্দিষ্ট কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা অনেক বেশি। আগামী বছরের মধ্যেই বাস্তবায়ীত হতে পারে।

উচ্চশিক্ষায় প্রবেশাধিকারও ট্রাম্পের অধীনে আক্রমণের শিকার হবে। ট্রাম্প প্রকাশ্যে ফেডারেল ঋণ মওকুফ কর্মসূচি এবং কম আয়ের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার জন্য গৃহীত কর্মসূচিকে ‘অবৈধ এবং অন্যায়’ বলেছেন। তাঁর প্রশাসন এগুলো বাতিল করার জন্য প্রস্তুত। এর ফলে নিম্ন মধ্যম আয়ের শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণ থেকে বন্ঞ্চিত হবেন।

নির্বাচনের পরেই উইলসন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি যুক্তি দেন যে এই খাতে ক্রমহ্রাসমান সরকারি অর্থায়ন বাড়তে থাকা ছাত্রঋণের বোঝা এবং একাডেমিক স্বাধীনতার ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে আরও তীব্র হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *