শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক সংগঠনগুলোর মতামতের ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরি করা হবে, এমনটাই জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ঘোষণাপত্র চেয়েছিল, তবে তা প্রস্তুত করতে কিছুটা অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে।’ এ কারণে শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মাহফুজ আলম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করতে শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে না। এটি একটি ঐকমত্য ভিত্তিক প্রক্রিয়া হবে।
মাহফুজ আলম মন্তব্য করেছেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে নানা আলোচনা হতে পারে। শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যেই তাদের প্রস্তাবনা দিয়েছে, তবে ঘোষণাপত্রটি সরকারের পক্ষ থেকে প্রদান করা হবে না। সরকার ঘোষণাপত্রের প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘোষণাপত্রটি আসবে সকলের সম্মতির ভিত্তিতে— রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের ঐকমত্যের পর এটি তৈরি হবে। সবার সম্মতিতে ঘোষণাপত্র হলে এটি বাংলাদেশের জন্য উপকারী হবে।’
মাহফুজ আলম স্পষ্ট করে জানান, ‘এ দুটি বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা— সরকার কোনো ঘোষণাপত্র তৈরি করবে না। এটি শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনা ও সকল পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে প্রণীত হবে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দিয়েছিল যে, তারা একটি ঘোষণাপত্র দেবেন। কিন্তু সরকার বুঝতে পেরেছে যে, শুধুমাত্র ছাত্রদের দিক থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও ঐক্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটি ঘোষণাপত্র তৈরি করবে।’
এ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, সরকার গণঅভ্যুত্থানের সমস্ত পক্ষের সঙ্গে কথা বলে আগামী সপ্তাহে ঘোষণাপত্রের বিষয়ে এবং এর প্রকাশের সময়সূচি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে আগামী সপ্তাহ থেকেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে মাহফুজ আলম জানান, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ঘোষণাপত্র তৈরি করা, তবে এটি কিছুটা সময় নিতে পারে। তবে খুব বেশি দেরি হবে না, হয়তো তাদের নির্ধারিত সময়সীমার কিছুদিনের মধ্যেই এটি প্রস্তুত হবে। আমরা আশা করি, এটি ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সম্ভব হলে তা হবে। তবে সরকার চাচ্ছে সব পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে এটি সম্পন্ন করতে। আমরা বিশ্বাস করি শিক্ষার্থীরা ধৈর্য ধরে থাকবেন এবং একটি সম্মতিমূলক ঘোষণাপত্র বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের ওপর কর বাড়িয়ে তাদের সমর্থন হারাচ্ছে: রিজভী