জানুয়ারি বৃহস্পতিবার চিকিৎসা বিষয়ক সময়িকী দ্য ল্যানসেটের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন টিতে অনুমান করা হচ্ছে গত নয় মাসে ইজরায়েলী হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা এক চল্লিশ শতাংশ বেশি জনপদটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাবের চেয়ে।
৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে হামাস ইসরাইলের হামলা চালাই। এর জবাবে ইজরায়েল গাজায় নির্বিচার হত্যা শুরু করে। কত যে ফিলিস্তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন এর কোন হিসাব নাই।
গাজায় হামাসের পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী গত বছর ৯ মাসে ৩০ জুন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৮৭৭ জন।
অনলাইন জরিপ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মৃত্যু সংবাদ এর ভিত্তিতে ল্যানসেট ক্যাপসার -রিক্যাপচার পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে জানা গেছে যে গাজায় যুদ্ধের প্রথম নয় মাসে নিহতের সংখ্যা ৫৫ হাজার ২৯৮ থেকে ৭৮ হাজার ৫২৫ জন ফিলিস্তিনি।
এই গবেষণার অনুমান মতে গাজায় মোট ৬৪ হাজার ২৬০ জন মানুষ নিহত হয়েছেন।অর্থাৎ ৪১ শতাংশ মৃত্যুর সংবাদ বাদ পড়েছেন গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী।
ল্যানসেটের তথ্য অনুযায়ী মোট নিহত সংখ্যা ৬৪ হাজার ২৬০ জন।অর্থাৎ গাজায় যুদ্ধের আগের জনসংখ্যার ২ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ মারা গেছেন। মোট জনসংখ্যার ৩৫ জনের একজন মারা গেছে।
যুক্তরাজ্যের একটি গবেষক দল গাজায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাদের গবেষণা অনুযায়ী শিশু নারী বৃদ্ধের সংখ্যা ৫৯ শতাংশ মোট নিহতের মধ্যে।
ল্যানসেটের পরিসংখ্যানে শুধু বিমান হামলায় নিহতদের সংখ্যা হিসাব করা হয়েছে। খাবারের অভাবে ও স্বাস্থ্য জটিলতায় এবং হাজার হাজার নিখোঁজ হওয়া মানুষকে ধরা হয়নি এই গবেষণায়।বহু নিখোঁজ হওয়া ব্যাক্তি বিল্ডিং এর তলে চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন বলে অনুমান করা হয়।
গবেষণার হিসাবের বাহিরেও হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন তার কোনো হিসাব নাই।