বিপদজনক ও ভয়াবহ দাবানলের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে লস অ্যান্জ্ঞেলেস শহর, যা যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলের অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার একটি শহর।
শহরটি যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম শহর। যা গত বেশ কয়েকদিন ধরে দাবানলে পুড়ছে। যার ফলে বিষাক্ত মেঘ ছড়িয়ে পড়েছে শহরটির বাতাস জুড়েও। এতে শ্বাসরোধী ধোঁয়ায় বিস্তৃর্ণ অন্ঞ্চল ঢেকে যাচ্ছে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তারা সতর্কবার্তা ও পরামর্শ দিচ্ছেন শহরবাসীকে যেনো তারা ঘরের ভিতরে অবস্থান করেন।
একটি সংবাদ সম্মেলনে অনীশ মহাজন জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা লস অ্যান্জ্ঞেলেস কাউন্টি জানান-
“দাবানলের ধোঁয়ার ক্ষতির পরিমান সকলেই বুঝতে পেরেছি । মিশ্রিত গ্যাস, অতি ছোট বা ক্ষুদ্র কণা, ও জলীয় বাষ্প রয়েছে এতে।”
অনীশ আরও জানান-
আমাদের নাক ও গলায় এই ছোট ছোট কণা ঢুকে যায়। এতে মাথা ও গলাব্যথা হয়। তাই ধোঁয়া বা ধোঁয়ার গন্ধ যেসব এলাকায় দৃশ্যমান রয়েছে, এমনকি আপনি যেখানে তা দেখতে পান না, বাতাসের মান সেখানেও খারাপ। তাই কমিয়ে আনা উচিত যতটা সম্ভব বাইরে যাওয়া।’
এধরনের পরিস্থিতিতে যতটা সম্ভব সুস্থ ব্যক্তিদেরও ঘরের ভেতরে থাকা উচিত।
অনীশ মহাজন আরো বলেন –
ব্যবহার করা উচিত, কোনো না কোনো বায়ু পরিশোধনব্যবস্থা ।
এন–৯৫ মাস্ক পরিধান করে ঘরের বাহিরে কাজ করতে পরামর্শ দিয়েছেন অনীশ মহাজন।
একই সঙ্গে তাঁর মত,বিশেষভাবে সতর্ক থাকা উচিত এ সময়টায় প্রবীণ তরুন ও অসুস্থ মানুষদের।
গত মঙ্গলবার আগুনের সূত্রপাত ঘটে লস অ্যাঞ্জেলেসে। এরপর দাবানল ছড়িয়ে পড়ে কয়েকটি জায়গায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না শত চেষ্টা করার পরও। এলাকার পর এলাকা ছারখার হয়ে যাচ্ছে পুড়ে।
উক্ত দাবানলে ক্ষয়ক্ষতি হওয়া সম্পদের পরিমাণ দেড় শ বিলিয়ন ডলার এখন পর্যন্ত।
অন্যদিকে দুর্বৃত্তরা লুটপাট চালাচ্ছে এই সংকটময় পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে। কারফিউ জারি করা হয়েছে একটি এলাকায় লুটপাট প্রতিরোধ করতে।
শুধু তা–ই নয়, এমনকি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ গত শুক্রবার জারি করেছে জরুরি অবস্থা, উক্ত দাবানলের ধোঁয়ার কারনে। একই সঙ্গে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এমন যন্ত্রের ব্যবহার যা তুলতে পারে বিপজ্জনক ছাই।
এতো ভয়াবহ দাবানল ও লাভার স্রোতে হতবাক হয়েছেন বিশ্ববাসী৷