একজন সুইডিশ নাগরিক ১০ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে ইরানের কারাগারে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। আল জাজিরা সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায় ইরানের সেমনান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তেহরান শহর থেকে ১শ ৮০ কিলোমিটার দূরে সুইজারল্যান্ড এর ওই নাগরিককে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে আটক করা হয়েছিল।
ইতালির এক নাগরিক ইরানের কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার একদিন পরেই সুইজারল্যান্ডের নাগরিকের আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে। এমনটাই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সুইজারল্যান্ড এর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এফডিএফএ) ইমেইল বার্তার মাধ্যমে মৃত্যু সংবাদটি স্বীকার করেছেন। সুইজারল্যান্ডের মুখপাত্র বলেছেন তেহরানের সুইস দূতাবাস স্থানীয় কর্তৃপক্ষদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে চলেছেন। যাবতীয় ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিতে তাদেরকে বলা হয়েছে।
আত্মহত্যাকারী কয়েদিকে কবে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং কতদিন সে কারাগারে ছিল সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।ইরান সাধারণত অনেক বিদেশী কে আটক করে নিরাপত্তা জনিত কারণে। এভাবে কূটনীতিক সেবা আদায় করে ইরান মানবাধিকার সংস্থা গুলোর অভিযোগ। কিন্তু ইরান এই বিষয়টি অস্বীকার করে।
আখবারি এ বিষয়ে জানিয়েছেন যে সুইজারল্যান্ডের ওই নাগরিক আরেক বন্দির সঙ্গে একই সেলে বন্দী ছিলেন। ওই কয়েদি যখন খাবার আনতে বাহিরে যান ওই সময় সুইডিশ নাগরিক আত্মহত্যা করে।
তিনি আরো জানিয়েছেন কারাগারের কর্তৃপক্ষরা অনেক চেষ্টার পরেও তাকে বাঁচাতে সক্ষম হয়নি। তবে আত্মহত্যাকারী কয়েদির পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত বলেননি।
তবে ইরানের যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রতিনিধিত্ব করে সুইজারল্যান্ড। এর কারণ তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।