ঠান্ডা লাগা মানেই কি ফ্লু?

 

ঠান্ডা-কাশি এমন একটি সমস্যা যা সারা বছরই হতে পারে, তবে শীতের সময় এটি অনেক বেশি অনুভূত হয়। অনেক সময় ঠান্ডা-কাশি হলে আমরা মনে করি, “আমার ফ্লু হয়েছে।” কিন্তু, এটা কি আসলেই সঠিক?

ফ্লু (ইনফ্লুয়েঞ্জা) একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা সাধারণত নাক, গলা এবং শ্বাসনালিকে আক্রান্ত করে। এটি খুব ছোঁয়াচে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ফ্লু আক্রান্ত হলে যে সব উপসর্গ সাধারণত দেখা যায় তা হলো:

  • জ্বর
  • নাক দিয়ে পানি পড়া
  • গলাব্যথা
  • হাঁচি
  • শরীরব্যথা/মাথাব্যথা
  • শারীরিক দুর্বলতা

ফ্লু যদি ফুসফুসে প্রভাব ফেলে, তবে কাশি, শ্বাসকষ্ট বা বুকের ব্যথাও হতে পারে। এছাড়া, পাতলা পায়খানা বা বমিও হতে পারে।

ফ্লু ও ঠান্ডা এক জিনিস নয়। ঠান্ডা সাধারণত নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হাঁচি-কাশির মাধ্যমে পরিচিত, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘রাইনাইটিস’ নামে পরিচিত। এই পরিস্থিতিতে ফ্লুর তুলনায় মৃদু উপসর্গ দেখা যায়। রাইনাইটিস ভাইরাসজনিত হতে পারে, যেমন ‘রাইনো’ ভাইরাস যা ঠান্ডার কারণ। এছাড়া, অ্যালার্জির কারণেও ঠান্ডা হতে পারে, যা ‘অ্যালার্জিক রাইনাইটিস’ নামে পরিচিত। কিছু মানুষের অ্যালার্জির প্রবণতা বেশি থাকে, ফলে তাদের বেশি ঠান্ডা ও কাশি হয়, যা ‘অ্যাট্রোফিক রাইনাইটিস’ নামে পরিচিত।

ফ্লুতে রোগীর উপসর্গ তুলনামূলকভাবে বেশি তীব্র থাকে, যেমন জ্বর, শরীরব্যথা, মাথাব্যথা, এবং শারীরিক দুর্বলতা। ফ্লু আক্রান্ত হলে সুস্থ হতে কিছুটা বেশি সময় লাগে।

করণীয়:
ঠান্ডা বা ফ্লুতে বেশিরভাগ সময় উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা নিলে রোগী সুস্থ হয়ে যায়। এই সময় বেশি করে পানি ও পানিজাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করা এবং গরম ভাপ নেওয়া উপকারী। জ্বর ও মাথাব্যথার জন্য প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে এবং আমিষজাতীয় খাবার খাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে, শারীরিক দুর্বলতা বেশি হলে বা উপসর্গ তীব্র হলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

সূত্রঃ প্রথম আলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *