বিগত ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ইউরোপীয় কেমিক্যাল এজেন্সি একটি তদন্ত করে জানতে পারে ইউরোপে মেয়েদের অনেক প্রসাধনীতে নিষিদ্ধ রাসায়নিক পাওয়া গেছে। জার্মানিসহ ইউরোপের ১৩ টি দেশে কেমিক্যাল এজেন্সি এই তদন্ত চালিয়েছিলো। এজন্য প্রায় সাড়ে চার হাজার প্রসাধনসামগ্রী তারা বাজার থেকে ক্রয় করে পরিক্ষা- নীরিক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলো।
পরীক্ষার পর দেখা যায় যে এগুলো ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাদের তথ্য মতে জানা যায়,প্রায় ৬ শতাংশ প্রসাধন সামগ্রীতেই নিষিদ্ধ রাসায়নিক ব্যবহার করেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা।
পরিক্ষা শেষে কেমিক্যাল এজেন্সি জানিয়েছে, সাড়ে চার হাজারের মধ্যে ২৮৫ টি প্রসাধনীর মাঝে ত্বকের ক্ষতি করে এমন নিষিদ্ধ কেমিক্যাল পাওয়া গেছে। এই কেমিক্যাল গুলো ইউরোপেও নিষিদ্ধ।
তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন, প্যাকেটের গায়ে প্রসাধনসামগ্রীর যে বর্ণনা দেওয়া থাকে সেখানেই উল্লেখ থাকে যে এই প্রসাধনীতে নিষিদ্ধ রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি ক্রেতারা চাইলেও এ তথ্য দেখতে পাবে।
সংস্থাটির রিপোর্ট থেকে পাওয়া যায়,রাসায়নিকগুলো ইউরোপে কেন নিষিদ্ধ এবং কোন গুলো নিষিদ্ধ সেই বিষয়ে ক্রেতারা আসলে জানেনই না।
মেয়েদের নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সামগ্রী যেমন- লিপস্টিক, আই লাইনার,চুলের কন্ডিশনার, মাস্ক ইত্যাদিতে এই নিষিদ্ধ কেমিক্যাল গুলো পাওয়া গেছে।
প্রসাধনসামগ্রী সরবরাহকারীদের কাছে লিখিত নোটিশ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটি। কোন কোন জিনিসে নিষিদ্ধ রাসায়নিক আছে তা তাদের জানিয়ে দিবে এবং এই পণ্যগুলো বাজারে না আনার কথাও বলবে।
যদি এই পদক্ষেপে কোন কাজ না হয়, নিষিদ্ধ রাসায়নিক যুক্ত সামগ্রী বাজার থেকে সরানো না হয় তখন পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।