বাংলাদেশ নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাব দিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব

বাংলাদেশ নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাব দিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সরাসরি ট্রাম্পের বক্তব্য নিয়ে মন্তব্য না করলেও একটি ফেসবুক পোস্টে নেত্র নিউজকে প্রশংসা করেছেন, যেখানে তিনি এটিকে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রদ্ধাসম্পন্ন অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেছেন। শফিকুল আলম বলেন, নেত্র নিউজ বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ব্যানারে পরিচালিত কিছু মিথ্যা প্রচারণাকে তুলে ধরেছে।

তিনি আরও লেখেন, “আমরা জানি, বিপ্লব (জুলাই গণ-অভ্যুত্থান) নিয়ে বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে সহিংসতা চালানোর বিষয়ে মিথ্যা বয়ান তৈরির ক্ষেত্রে এই গোষ্ঠীর ভাষ্যগুলো একটি বড় ভূমিকা রেখেছে। কিছু ধর্মীয় সহিংসতা ঘটেছে, যা আমরা অস্বীকার করছি না, তবে সেগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং ব্যাপকভাবে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে।”

শফিকুল আলমের মন্তব্যে বোঝা যায়, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার ঘটনা থাকলেও তা প্রকৃত চিত্রের চেয়ে অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের অভ্যন্তরীণ সংকট মোকাবিলা এবং তাঁর ধৈর্যশীল মনোভাব নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা ফেসবুকে শেয়ার করেছেন তাঁর প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শফিকুল আলম উল্লেখ করেছেন যে, আগস্ট মাসে পুলিশের উপস্থিতি কমে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ তরুণ-তরুণীরা পুলিশ কর্মকর্তার ভূমিকা পালন করেন। এতে সরকার পরিচালনায় দৃশ্যমান চ্যালেঞ্জ দেখা দিলেও ড. ইউনূস শান্ত থেকে পরিস্থিতি সামলেছেন। তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দ্রুত পুলিশ বাহিনী ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেন এবং এ বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে, বাংলাদেশের নাগরিক বোধ ও শিষ্টাচার সংকট কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।

শফিকুল আলম আরও বলেন, গত তিন মাসে নানা সংকট মোকাবিলায় ড. ইউনূসের শান্ত ও ধৈর্যশীল মনোভাব তাঁকে অভিভূত করেছে। রাজপথে বিক্ষোভ, ভয়াবহ বন্যা, খাদ্য ও সবজির মূল্যবৃদ্ধি, আনসার এবং পোশাক কারখানার শ্রমিকদের আন্দোলন মোকাবিলায় তিনি সব সময় সমাধানের পথ খুঁজেছেন। তাঁর এই শান্ত মনোভাব এবং সমস্যা সমাধানের আন্তরিক চেষ্টার প্রশংসা করেন শফিকুল।

এছাড়াও, শফিকুল আলম উল্লেখ করেন যে, ড. ইউনূস শুরু থেকেই বিদেশি সাংবাদিক, গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের বাংলাদেশে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেছেন, “তাদেরকে নিজেদের মতো করে বাংলাদেশকে দেখতে ও বুঝতে দাও, যাতে তারা আমাদের সমাজ, জনগণ ও দেশের প্রতি আমাদের আত্মবিশ্বাস অনুভব করতে পারে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *