সুদানে যুদ্ধকবলিত ধর্ষণের শিকার নারীরা করছে আত্মহত্যার

যুদ্ধ কবলিত  দেশ সুদানের নারীরা ধর্ষণ নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পেতে আত্মহতার পথ বেছে নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে মধ্য সুদানের রাজ্য জেজিরায় অনেক নারী ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে। মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীদের ভাষ্যমতে সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) যোদ্ধাদের হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে ঐ দেশের নারীরা।

জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয় নৃশংসভাবে গণহত্যা চালাচ্ছে আর এস এফ জেজিরায়। এছাড়াও যৌন সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। 

স্ট্র্যাটেজিক ইনিশিয়েটিভ ফর উইমেন ইন দ্যা হর্ন অব আফ্রিকার (সিহা) প্রধান হালা আল কারিব জানিয়েছেন সুদানে প্রতিশোধমূলক কর্মকাণ্ড এবং লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে আই এস এফ এর কর্মীরা। এছাড়াও সাধারণ নাগরিকদের হত্যা করছে আর নারী ও শিশুদের গণধর্ষণ করছে। তারা নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে আইএসএফ এই অপরাধ অস্বীকার করেছে। 

আইএসএফ বলছে এই অভিযোগ সত্য নয় এবং তথ্য প্রমাণ  ভিত্তিক নয়। জাতিসংঘের তথ্য মতে জেজিরায় গত সপ্তাহে তিনজন নারী আত্মহত্যা করেছে। এমন এক নারীর বোনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তার বোনকে আইএস এফ যোদ্ধারা বাবা ও ভাইয়ের সামনে তাকে ধর্ষণ করেছে। পরে সেই নারী শারীরিক  ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহনের পথ বেছে নিয়েছে। 

সিহা প্রধান বলেন ইতিমধ্যে ৫০টি বা তারও বেশি গ্রামে হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে দুটি এলাকায় আত্মহত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওই সব এলাকায় মুঠোফোন যোগাযোগ বন্ধ আছে। এ সংখ্যা আরো বাড়তে  পারে পরে যোগাযোগ ঠিক হলে। উল্লেখ্য যে সুদানে গৃহযুদ্ধের ফলে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। এক কোটি দশ লক্ষের চেয়েও বেশি মানুষ গৃহ হারা হয়েছেন। এছাড়াও অনেক মহিলা যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার ভয়ে আত্মহত্যার কথা ভাবছে।

সুদানে এই যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে লাখ লাখ মানুষ অনাহারে মারা যাবে এবং সর্ববৃহৎ মানবিক সংকট দেখা দিতে পারে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *