হঠাৎ মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ভারতীয় সংস্থার বিরুদ্ধে

গত বুধবার, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের ৩৯৮ সংস্থা ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, এর মধ্যে ভারতীয় ১৯ সংস্থা ও ২ নাগরিক রয়েছে। অভিযোগ ছিলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়াকে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস পাঠিয়ে সাহায্য করেছে সংস্থাগুলো।

উল্লেখ্য এসব পন্য দ্বৈত ব্যাবহারের উপযোগি।এগুলো যেমন সাধারণ জনগণকে সেবা দিতে ও ব্যাবহার করা যায় আবার সামরিক কাজেও ব্যাবহৃত হয়। সকল পন্য ও প্রযুক্তির মাঝে ইলেকট্রনিক পন্যই বেশি। বাদবাকি যুদ্ধ বিমানের যন্ত্রাংশ এবং অন্য সরঞ্জাম যা সামরিক অস্ত্র মেরামত করতে কাজে লাগে। 

উক্ত নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে, ভারতের ১৯ সংস্থা সহ, চীন,রাশিয়া, তুরস্ক, হংকং, থাইল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, আরব আমিরাত এর বিভিন্ন সংস্থা।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ ২৭০ ব্যক্তি ও সংস্থাকে চিহ্নিত করেছে।

এছাড়াও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,তারা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ১২০ ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর। ৪০ সংস্থাকে নির্দিষ্ট করেছ বানিজ্যি মন্ত্রণালয়। 

অ্যাসেন্ট এভিয়েশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড’ভারতীয় একটি সংস্থা এটি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ- ২০২৩ এর মার্চ থেকে ২০২৪ এর মার্চ এক বছরে তারা ৭০০ এর বেশি সামরিক যন্ত্রাংশ এবং বিভিন্ন পন্যাদি সরবারহ করেছে রাশিয়া ভিত্তিক সংস্থা কে। ২ লাখ ডলারেরও বেশি  যুদ্ধ পরিচালনার জন্য ব্যাবহিত বিভিন্ন পন্য যার মধ্যে বেশি কমন হাই প্রায়োরিটি তালিকাভুক্ত (সি এইচ পি এল)। 

মাস্ক ট্রান্স নামে আরকটি ভারতীয় সংস্থাও একই পন্য সরবরাহ করেছে রাশিয়াকে ৩ লাখ ডলার মূল্যের বিভিন্ন সরঞ্জাম। ভারতীয় চার সংস্থা, অন্য দুটির নাম, ফিউট্রেভো ও শ্রোয়া লাইফ বিভিন্ন ভাবে রাশিয়াকে সামরিক ভাবে সাহায্য করেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, এই সংস্থাগুলোর সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি হঠাৎ করেই অনেক বেড়ে গিয়েছিল। ১৪ লাখ ডলারেরও বেশি বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের সরবরাহ করেছে ফিউট্রেভো সংস্থাটি। এই সব ধরনের লেনদেনই হয়েছে নিষেধাজ্ঞা কে পরোয়া না করে। 

অভিযোগ এসকল দ্বৈত পন্য ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধে ব্যাবহৃত হচ্ছে। 

এর পূর্বেও যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কারও কারও বিরুদ্ধে কিন্তু এ বারই একই সাথে ১৯ টি সংস্থা কে নিষেধাজ্ঞা, এটি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বলে মনে করছেন অনেকে। 

উক্ত নিষেধাজ্ঞা  ফলে, এসব সংস্থার মালিক যুক্তরাষ্ট্রে যেসব সম্পদের মালিক  তার কোনো সম্পদ ব্যাবহার করতে পারবে না৷ তাদের সকল যা যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে সেসব সম্পদ সাময়িকভাবে ব্যাবহার করতে পারবে না। কোনো লেনদেন ও করতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্রের সাথে।এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের বাহিরে ও কেউ কোনো লেনদেন বা ব্যাবসা বিষয়ক বিভিন্ন আদান প্রদান করতে পারবেন না। 

বিবেক কুমার মিশ্র ও সুধীর কুমার নামে দিল্লি ভিত্তিক ২ সংস্থার পরিচালকেও এ আওতায় আনা হয়েছে।

ভারতের শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রণালয়কে এ সম্পর্কিত বেশ কিছু প্রশ্ন পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেন নি ভারত। 

আসন্ন ৫ নভেম্বর মার্কিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এর ঠিক পূর্বে ভারত এখনো এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোনো উত্তর দেয় নি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *