“যুক্তরাজ্য সরকার খোলা স্থানে যেমন, খেলার মাঠ, স্কুলও ও হাসপাতালের বাহিরে ধূমপান নিষিদ্ধ করার
নতুন পরিকল্পনা করেছেন”।
জানা যায় – করদাতাদের খরচের কমানো এবং সেই সাথে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের উপরও চাপ কমানোর জন্য এমন পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাজ্যের সরকার।
গতকাল ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার ধূমপান নিষিদ্ধ সংক্রান্ত বিল “টোব্যাকো অ্যান্ড ভেপস” যুক্তরাজ্য সরকার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে উত্থাপন করেছে বলে জানা গিয়েছে।
বিশ্বের কঠোরতম ধূমপান বিরোধী কিছু বিধিনিষেধ ও নিষিদ্ধ করা হয়েছে কম বয়সীদের ধূমপান পার্লামেন্টে উপস্থাপিত হওয়া এ বিলে।
এক বিবৃতিতে ওয়েস স্ট্রিটিং যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন – “তারা যদি মানুষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করার জন্য পদক্ষেপ না নেয় তবে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস অদূর ভবিষ্যতে হিমশিম খাবে রোগীদের ক্রমবর্ধমান এই চাপ সামলে উঠতে। হাজারো মানুষের প্রান বাঁচাতে সাহায্য করবে এ বিল”।
তবে পানশালা ও ক্যাফের বাহিরে এ পরিকল্পনা যুক্তরাজ্য সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন কারন এতে প্রভাব পড়তে পারে দেশটির হসপিটাল ইন্ড্রাস্টির উপরে।
গত আগস্টে কিয়ার স্টারমার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন – তিনি খোলাস্থানগুলোতে পানশালা বাগানের মতো বাহিরে ধূমপান নিষিদ্ধ করার বিষয়টি সমর্থন করেন।
ইউগভ পরিচালিত এক জরিপে চালায় গত সেপ্টেম্বর মাসে তা থেকে জানা যায়, যুক্তরাজ্যে হাসপাতালের বাহিরে বিভিন্ন খোলা স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ করাকে দেশটির তিন-চতুর্থাংশের বেশি সাধারণ মানুষ সমর্থন করেন। তবে দ্বীমত চলে এসেছে পাব গার্ডেনে ধূমপান নিষিদ্ধ করার বিষয়ে।
যুক্তরাজ্যে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ মারা যায় প্রতি বছর ধূমপানের কারনে। উৎপাদনশীলতা কমে যায় ধূমপানে। ২ হাজার ১৮০ কোটি পাউন্ড অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয় যুক্তরাজ্য।
২০০৭ সালে ১৯ লাখ ধূমপায়ীর সংখ্যা কমে গিয়েছিল যুক্তরাজ্যে শুধুমাত্র আবদ্ধ জায়গা যেমন পানশালা ও কর্মস্থলে ধূমপান নিষিদ্ধ করার কারনে।
ঠিক এর পরের বছর হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২০০ জন কমে যায় যুক্তরাজ্যের হাসপাতালে। এ তথ্য প্রকাশ হয়েছিল ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে।
তাই আশা করা যায় যুক্তরাজ্য এ সংক্রান্ত বিল পাশ হলে অভাবনীয় পরিবর্তন আসবে দেশটির পরিবেশে এবং দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিষয়ে।