৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, বাংলাদেশ ইস্যু ক্রমেই আরো বড় হয়ে উঠছে, ভারতের বেশ কিছু নির্বাচনীয় অন্ঞ্চলে বিশেষ করে পূর্ব – ভারত ও উত্তর – ভারতের নির্বাচনে। আগামী ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বারাক উপত্যকার ধলাই আসনের (বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা) উপনির্বাচন।
বিধান সভার উপনির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ প্রশ্নে হিমন্ত বিশ্বশর্মা ভারতের আসাম প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেস তার প্রধান বিরোধী দল এর মাঝে ব্যাপক তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটছে।
মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বশর্মা গত মঙ্গলবার জানান, “কংগ্রেস” বাংলাদেশি বলে বিজিপির প্রার্থীকে চিহ্নিত করার মাধ্যমে মেরুকরণ করতে চাচ্ছেন ভোটের।
উক্ত উপনির্বাচনে “ধ্রুবজ্যোতি পুরকায়াস্থে” দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে এবং তার বিপরীতে নিহার রঞ্জন দাস দাঁড়িয়েছেন বিজিপির প্রার্থী হিসেবে।
বিজিপির অমিয়কান্তি দাস সহসভাপতি কাছাড় জেলার প্রার্থী ভারতীয় না বাংলাদেশি এ বিতর্ক শুরু করেন তো প্রাথমিকভাবে বিজিপির পক্ষ থেকেই এ বিতর্কের সূচনা হয়।উক্ত আসনে অমিয়কান্তি নিজে মনোনয়ন চেয়েছিলেন পরবর্তীতে তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেন বিজিপির নিহার রঞ্জন দাসের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার কারনে।
“বাংলাদেশের বাসিন্দা নিহার রঞ্জনের মা বাবা” অমিয়কান্তি ধোলাইয়ে এক সমাবেশে উক্ত বক্তব্য করেন এ বিতর্ককে উসকে দেন আরো।
উক্ত বিষয় কে কেন্দ্র করে স্বাভাবিক ভাবেই কংগ্রেস এটিকে ইস্যু করে তোলেন।
ভুপেন বোরা সভাপতি আসাম কংগ্রেসের তিনি গত রবিবার এক নির্বাচন প্রচারণায় বলেছেন, বিজিপির প্রার্থীকে বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করেছেন বিজিপির নেতাকর্মীরাই।
বোরা আরো বলেন, আসামের মুখমন্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিহাররঞ্জন দাসের যিনি বিজিপির নেতা এবং একজন বাংলাদেশি। একজন বাংলাদেশি কেনো আসামের উপনির্বাচনের প্রার্থী তা বিজিপির মুখ্যমন্ত্রী কে জবাবদিহিতা করা উচিত আসামের জনগণের কাছে।
উল্লেখ্য, আসামের উপনির্বাচনে প্রার্থী নিহাররঞ্জন দাস বিজিপির সাথে প্রায় ২ দশকেরও বেশি সময় ধরে রয়েছেন তিনি পেশায় একজন আইনজীবী। তার বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগে তিনি বলেন কংগ্রেসের নতুন কৌশল এটি মিথ্যাচার করা হচ্ছে তার নামে। এ তথ্যের কোনো সত্যতা নেই।
আসামের বরাক উপত্যকা একটি সংবেদনশীল অন্ঞ্চল, কারন এখানে বাংলাদেশের ১২৫ কি.মি বেশি সীমান্ত রয়েছে এবং দেশ বিভক্ত হওয়ার সময় এবং তার পরবর্তীতে বহুসংখ্যক মানুষ এ বরাক উপত্যকায় এসেছিলেন।
সূদুর অতীতেও নির্বাচনের পূর্বে, বাংলাদেশি কে? বাংলাদেশি নয় কে? বিতর্ক ছিল উক্ত বিষয়ে এখন এই বিতর্ক ক্রমশ আরো বাড়ছে ও গভীর হয়েছে।