গত শুক্রবার ৮ নভেম্বর মার্কিন বিচার বিভাগ অভিযুক্ত করেছে ইরানের এক নাগরিককে নতুন নির্বাচিত যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন তিনি। অন্যদিকে আব্বাস আরাকচি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রত্যাখান করেছে এমন অভিযোগ।
“গড়ে তোলা হয়েছে একটি নতুন দৃশ্যকল্প হত্যাকারী হিসেবে এমন একজনকে যিনি বাস্তবে নেই। স্ক্রিপ্টরাইটারদের নিয়ে আসা হয়েছে একটি থার্ড ক্লাস কমেডি তৈরি করতে”। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্স সাবেক টুইটারে আব্বাস অরাকচি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন।
অরাকচি দাবি করেছেন, ইরান জড়িত নয় এমন কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের সাথে। তিনি আরো আহ্বান জানিয়েছেন দুই দেশের মধ্যে আস্থা বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়ার।
তিনি আরো জানান – নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন জনগণ। ইরান শ্রদ্ধা করে তাদের পছন্দ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অধিকারকে। একটি পছন্দের বিষয় ও সামনে এগোর পথটি। এটি শুরু হয় শ্রদ্ধা দিয়ে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইরান ছুটছে না আর পারমানবিক অস্ত্রের পিছনে। কোনো কথা নেই আর এ নিয়ে। আমাদের নিরাপত্তা হিসাব নিকাশ ও ইসলামিক শিক্ষা ভিত্তিক নীতির একটি এটি। এখানে আস্থা তৈরির দরকার উভয়পক্ষ থেকে। এই পথ একমুখী পথ নয়৷
মার্কিন বিচার বিভাগ ৮ নভেম্বর শুক্রবার বলছে- ট্রাম্পকে হত্যা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ফরহাদ শাকেরি নামে ৫১ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আইআরজিসি ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস। কর্তৃক।
এক বিবৃতিতে মার্কিন বিচার বিভাগ জানায়, ইরানের রেভলুশনারি গার্ডসের সাথে শাকেরী যুক্ত। শাকেরি যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন শৈশবে। ২০০৮ সালে ডাকাতির অভিযোগে মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়াতে তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল ইরানে।
ইরানি কর্তৃপক্ষ গত ৭ অক্টোবর ট্রাম্পকে হত্যা করার দায়িত্ব দেয় কিন্তু আইআরজিসির ওই বেঁধে দেওয়া সময়ের মাঝে কোনো পরিকল্পনা তার ছিল না ট্রাম্পকে হত্যা করার। এসব তথ্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কে ফরহাদ শাকেরি জানিয়েছেন । মার্কিন বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে এ তথ্য বলা হয়।