৮০ হাজার ডলারে সর্বকালের সর্বোচ্চ রেটে পৌঁছেছে শীর্ষস্থানীয় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন।
১০ নভেম্বর রবিবার মস্কোর স্থানীয় সময় অনুযায়ী সকালে এমনটাই বলছে বাইন্যান্স প্ল্যাটফর্মের তথ্য। ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরপরই ছাড়িয়ে যায় ৭৬ হাজার ডলার।
বিটকয়েনের দাম ওঠা নামা করে ক্রিপ্টো-কারেন্সি ব্যাবহারকারীদের মাঝে জনপ্রিয়তার উপর ভিত্তি করে। বিটকয়েন হচ্ছে ক্রিপ্টো মুদ্রার এক ধরনের বিকেন্দ্রীভূত সিস্টেম যা ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে।
এই কারেন্সি মার্কেট সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামে মার্কেটে ২০০৮ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত হয়।
ক্রমেই অদূর ভবিষ্যতে দাম বাড়তে থাকবে এর। আরো লাভের সংকেত দেয় ঐতিহাসিকভাবে ক্রিপ্টো কারেন্সির জন্য বিটকয়েনের এই মূল্যবৃদ্ধির গতি।
ধারনা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনি প্রচার প্রচরণায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি “বিশ্বের ক্রিপ্টো রাজধানীতে” পরিণত করবেন যুক্তরাষ্ট্রকে। এসকল কারনই হচ্ছে বিটকয়েনের দামের এই লম্বা লাফের প্রধান উৎস।
ট্রাম্প বলেছিলেন- কৌশলগত বিটকয়েনের মজুত গড়ে তুলবেন ট্রাম্প, এর পাশাপাশি নিয়োগ দিবেন আর্থিক নিয়ন্ত্রক ডিজিটাল সম্পদ বান্ধব। এই প্রতিশ্রুতি আশা বাড়িয়েছে কমতে পারে বিধিনিষেধ ক্রিপ্টো শিল্পের উপর।
১ লাখ ডলারে উঠে যেতে পারে বিটকয়েনের দাম যদি নিয়ন্ত্রণ শিথিল করে ট্রাম্প প্রশাসন ক্রিপ্টো শিল্পের উপর বলে মনে করছেন ম্যাট বাজার বিশ্লেষক স্টোনএক্স ফিন্যান্সিয়াল।
তবে তিনি সতর্ক করে বলেন- ঝুঁকি তৈরি হতে পারে ছোট ছোট বিনিয়োগকারীদের জন্য কারন এসকল পরিবর্তনের ফলে, তাৎক্ষণিক উঠা- নামা করতে পারে ক্রিপ্টো কারেন্সির মূল্য।
বাইডেন প্রশাসন ও ট্রাম্প প্রশাসনের মাঝে ক্রিপ্টো কারেন্সি নিয়ে অমিল দেখা যায় বড় ধরনের। বাইডেন প্রশাসন ক্রিপ্টো কারেন্সি নিয়ে বেশ কঠোর অবস্থানেই ছিলেন।
মার্কিন নির্বাচন শেষে গত কয়েকদিনে বেড়েছে ডলার,স্টক সূচক মার্কিন বন্ডের মূল্যও।
বিটকয়েনের মূল্য বৃদ্ধির কারনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে বিনিয়োগকারীদের মাঝে।