ইতিহাস থেকে জানতে পারি, ঢাকা জেলা বাংলায় নিযুক্ত করেন মুঘল সুবেদার ইসলাম খান। ১৬০৮ সালে তিনি বাংলার রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন এবং নাম পরিবর্তন করে রাখেন জাহাঙ্গীরনগর। কিন্তু মুসা খানের সঙ্গে যুদ্ধের কারণে দুই বছর পিছিয়ে যায়।
পরবর্তীতে আরও চারবার ঢাকার নামকরণ করা হয়। প্রথমবার মীর জুমলা ১৬ সালে, ১৯০৫ সালে দ্বিতীয়বার বংগভঙ্গের সময় , ১৯৭১ সালে তৃতীয়বার ভারত-পাকিস্তান ভাগের এবং ১৯৭১ সালের কিছু সময় পরে শেষবারের মতো।
কিন্তু নতুন প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, এই দুটি অংশের পূর্বে ঢাকা ছিল ঐই অঞ্চলের এলাকা। এশিয়াটিক সোইটি মিলনায়তন একটি পাবলিক ‘পুরোনো পাসোক্তাগতাগতাগড়ে প্রত্নত্বিক ঘটনা: বিরোধসাপাঘাতের বিচার’ শীর্ষক বক্তৃতায় নতুন এই তথ্যটি হয় বের হয়েছে।
ইতিহাসে বলা আছে, ঢাকা প্রায় ৪০০ বছরের পুরাতন শহর কিন্তু নতুন তথ্য থেকে জানা যায় ঢাকা আড়াই হাজার বছরের পুরাতন একটি শহর যেখানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যবসার কেন্দ্র ছিল।
এটা সাধারণত ‘নতুন’ তথ্য নয় বরং অনুসন্ধানটি শুরু হয়েছিল ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালে পুরান স্বাতন্ত্র্য নাজিম রোড হতে ল নিজস্বগাড়ীগঞ্জে স্থানান্তরের পর।
‘পুরাণ কিছুদূর আমারাগারের অব্যহৃত পরিত্রাণ সর্ব সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণ’ একটি প্রকল্প করে স্বরাষ্ট্র পার্টির সদস্য নিরাপত্তা সেবা বিভাগ।
এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রযুক্তিবিদ্যাবিদ্যা ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান ও তার দলকে।
অধ্যাপক সুফি বলেছেন, “ইসলাম খান ঢাকাকে নাগরিকের পর একটি দুর্গে করতেন। অনেক স্থানীয় ঐতিহাসিক এই দুর্গকে মুঘল দুর্গ বলে উল্লেখ করেছেন।”
তিনি আরও বলেছেন, “কিন্তু ইসলাম খানের একজন অ্যাডমিরাল মির্জানা অদৃশ্য বাগানপাখি ( ‘বাহারিন-ই-গায়বি’) নামক একটি বই লিখেছেন তিনি সেখানে উল্লেখ করেছেন যে, ঢাকায় পূর্বে একটি দুর্গ ছিল।”
দুর্গ থেকে পেয়েছিল প্রত্নবস্তুর পুরনো যা অনুমান করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিটা অ্যানালিটিক কাউন্সিলিং ল্যাবরেটরিতে চার বা পাঁচটি ভিন্ন নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। প্রাপ্ত ফলাফল থেকে দেখা যায়, আগের নমুনা গুলি ১৪৩০ খ্রিস্টব্দের। এর অর্থ দুর্গটি সেখানে ছিল ঢাকায় মুঘলদের আগমনেরও প্রায় ২০০ বছর আগে।