যুক্তরাষ্ট্রে এশিয়া সংকটকে উসকে দিতে তাইওয়ানকে ব্যবহার করছে

যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে ব্যবহার করছে এশিয়ায় গুরুতর সংকট উসকে দিতে। 

 

গত রোববার  আন্দ্রে রুডেনকো রাশিয়ার ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বার্তা সংস্থা তাসকে তাইওয়ান বিষয়ে চীনের অবস্থানকে সমর্থন করে এ কথা বলেন।

 

রুডেনকো রুশ বার্তা সংস্থাকে আরও বলেছেন,   তাদের এ নীতি লঙ্ঘন করতে দেখা যাচ্ছে ‘এক চীন নীতি’কে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দিলেও। তারা স্লোগান তুলে তাইপের সঙ্গে  স্থিতাবস্থা বজার রাখার, সামরিক সরঞ্জাম বাড়ানো এবং সামরিক-রাজনৈতিক যোগাযোগ শক্তিশালী।

 

রুডেনকোর অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্য, এ অঞ্চলে হস্তক্ষেপ করে চীনকে উসকানি দেওয়া এবং নিজের স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে এশিয়ায় একটি সংকট তৈরি করা।

 

রুডেনকো অবশ্য কোন ধরনের যোগাযোগের কথা বলেছেন, তা উল্লেখ করা হয়নি প্রতিবেদনটিতে।

 

চীন নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ বলে মনে করে গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে। তাইপে অস্বীকার করে আসছে এ দাবিকে। যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র সরবরাহকারী ও আন্তর্জাতিক সমর্থক তাইওয়ানের। তবে তাইওয়ানকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। 

 

কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে রুডেনকোর মন্তব্য নিয়ে। এর পূর্বে গত সেপ্টেম্বর মাসে ৫৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার সামরিক সহায়তার বিষয়টি অনুমোদন করেন তাইওয়ানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। 

 

এশিয়ার বিষয়গুলোয় মস্কো থাকবে চীনের পাশে, বলা হয়েছে রাশিয়ার পক্ষ থেকে। মস্কো সমালোচনা করে আসছে, তাইওয়ানকে ঘিরে প্রভাব বিস্তার করার ও পরিস্থিতি খারাপ করে তোলার।

 

চীন ও রাশিয়া বেইজিং সফরের সময় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাদের সীমাহীন অংশীদারত্বের ঘোষণা দেয়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *