বাশার আল-আসাদ এগারোতে টিকে গেলেও চব্বিশে পালাতে হলো

দীর্ঘ ১৩ বছর পরে সিরিয়ায় ২০২৪ সালে ডিসেম্বর মাসে বাসার আল – আসাদের পতন ঘটে। ৫৩ বছরের শাসনের অবসান ঘটে বাসার আল আসাদের পতনের মাধ্যমে। হাফিজ আল আসাদের পতনের পরে বাসার আল আসাদ ক্ষমতায় আসেন। বাশার আল আসাদ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে স্বৈরাশাসন চালিয়ে গেছেন সিরিয়ায়।

১৯৭১ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছিলেন হাফিজ আল আসাদ। হাফিজ আল আসাদ ২০০০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর তার ছেলে বাশার ক্ষমতাই আসেন।

তিনি অর্থনৈতিক রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কার করেন। প্রথম অবস্থায় বাবার শাসনামল থেকে একটু শিথিল হলেও পরবর্তীতে তিনি বাবার মতই স্বৈরাচারী হয়ে ওঠেন।

২০১১ সালের মার্চ মাস থেকে আরব বসন্তে বিক্ষোভের ঢেউ শুরু হয়। বাসার আল আসাদ বিক্ষোভকারীদের দমন করতে থাকেন। একপর্যায়ে বিক্ষোভ কারীরা হাতে অস্ত্র তুলে নেন। দেশটি শুরু হয় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ।

রাশিয়া ও ইরান সামরিক শক্তি দিয়ে বাসার আল আসাদের পাশে দাঁড়াই। এছাড়াও লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন ও রাজনৈতিক সংগঠন হিজবুল্লাহ বাসায় আল আসাদের সাথে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।

মিত্রদের শক্তির ফলে বাশার সিরিয়ার মূল শহরগুলোর আধিপত্য অর্জন করে। কিন্তু যুদ্ধ থেমে থাকে নি। ছয় লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং এক কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ গৃহ হারা হয়।দেশটির মানুষ মানবিক সংকটে পড়ে।

বিদ্রোহীরা ৫ ডিসেম্বর হামা দখল করে নেন এবং ৭ ডিসেম্বর বৃহত্তম শহর হোমসের পতন ঘটে। এছাড়াও বিদ্রোহী কারীরা দুর্বার গতিতে দামেস্ক শহরের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেন।৮ ই ডিসেম্বর বিদ্রোহী কারীরা দামেস্ক শহরে চলে আসেন এবং বাসার আল আসাদ ভোরে উড়োজাহাজে শহর ত্যাগ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *