২ দশকে যুক্তরাষ্ট্রে জনসংখ্যার সর্বোচ্চ বৃদ্ধি

 

এই বছর যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা ৩.৩ মিলিয়ন বেড়েছে, যা গত দুই দশকে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি। মার্কিন সেন্সাস ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জনসংখ্যার এই বৃদ্ধি ২০০১ সাল থেকে সর্বোচ্চ বার্ষিক বৃদ্ধি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এবং দেশটির মোট জনসংখ্যা ৩৪০ মিলিয়নে পৌঁছেছে। ব্যুরো জানায়, এবারে মোট জনসংখ্যার প্রায় ১% বৃদ্ধি হয়েছে, যা দেশের বেশিরভাগ রাজ্যেই বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। ২০২১ সালে জনসংখ্যা বেড়েছিল মাত্র ০.২%, যা ছিল রেকর্ড কম, এবং কোভিড-১৯ এর কারণে মানুষের ভ্রমণ সীমাবদ্ধ ছিল।

২০২৩ ও ২০২৪ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রায় ৮৪% দায়ী আন্তর্জাতিক অভিবাসন। এ বছর ২.৮ মিলিয়ন মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে আইনগতভাবে এবং অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে। ব্যুরো জানায়, অভিবাসন সংক্রান্ত গণনা পদ্ধতিতে পরিবর্তন, যেমন মানবিক কারণে প্রবেশের অনুমতি পাওয়া ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করার ফলে এই বৃদ্ধির পরিমাণ বেড়েছে।

ব্যুরোর কর্মকর্তা ক্রিস্টিন হার্টলি বলেন, “অভিবাসন সংক্রান্ত ফেডারেল ডেটা উৎসগুলোর উন্নত একীকরণ আমাদের অনুমান পদ্ধতিকে উন্নত করেছে। এই আপডেটের মাধ্যমে আমরা এখন আরও ভালোভাবে বুঝতে পারি কীভাবে আন্তর্জাতিক অভিবাসনের সাম্প্রতিক বৃদ্ধি দেশের সামগ্রিক জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলছে।”

এই বছর মার্কিন জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল জন্মহার। ২০২১ সালে সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছানোর পর থেকে জন্মহার আবার বাড়তে শুরু করেছে। এই বছর জন্মের সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ ১৯ হাজার, যা মৃত্যুর চেয়ে বেশি।

তেত্রিশটি রাজ্য এবং কলাম্বিয়া ডিস্ট্রিক্টে মৃত্যুর চেয়ে বেশি জন্ম হয়েছে। ২০২৩ সালে ৩১টি রাজ্যে এবং ২০২২ সালে ২৫টি রাজ্যে জন্মের হার বেশি ছিল। সবচেয়ে বেশি জন্মহার ছিল টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া এবং নিউইয়র্কে। অন্যদিকে, পেনসিলভানিয়া, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া এবং ফ্লোরিডায় মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি ছিল।

ঠিকানা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *