ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত ট্রেইনি চিকিৎসকদের দ্রুত তাঁদের কাজে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। কমিটি অভিযোগ করেছে, স্বৈরাচারী সরকারের কিছু দুষ্কৃতকারী এই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করছে।
গতকাল রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়। কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বিজ্ঞপ্তিটি পাঠান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ট্রেইনি চিকিৎসকদের ভাতা বাড়ানোর আন্দোলন যৌক্তিক ছিল এবং তাদের দাবির প্রতি নাগরিক কমিটি সমর্থন জানায়। তবে, গতকাল তাঁদের আহ্বানে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, যেখানে তাঁরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বটতলায় সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান ধর্মঘট পালন করবেন, কিন্তু পরে তারা শাহবাগে গিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এতে সাধারণ জনগণকে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় এবং আশপাশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা ব্যাহত হয়।
জাতীয় নাগরিক কমিটি আরো জানায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সাইদুর রহমানের আমন্ত্রণে জাতীয় নাগরিক কমিটি, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) এবং ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) প্রতিনিধির মধ্যে আলোচনা হয়, যেখানে আগামী জানুয়ারি থেকে ভাতার পরিমাণ ৩০ হাজার টাকা এবং জুলাই থেকে ৩৫ হাজার টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে, এই সমঝোতা সত্ত্বেও ট্রেইনি চিকিৎসকরা আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন, যা নাগরিক কমিটি হঠকারিতামূলক বলে উল্লেখ করেছে।
কমিটির অভিযোগ, এই আন্দোলনে পতিত স্বৈরাচারী সরকারের কিছু দুষ্কৃতকারী জড়িত হয়ে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যেতে চাইছে। নাগরিক কমিটি স্পষ্টভাবে জানায়, তারা শুধুমাত্র চিকিৎসকদের ন্যায়সংগত আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করবে, কিন্তু রাষ্ট্রবিরোধী ও স্বৈরাচারী উসকানির সঙ্গে কোনো আন্দোলনে সম্পৃক্ত হবে না।
এছাড়া, নাগরিক কমিটি শাহবাগ থেকে ফিরে গিয়ে চিকিৎসকদের হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করে জনগণের ভোগান্তি দূর করার আহ্বান জানায়।
গতকাল, ৫০ হাজার টাকা ভাতা বাড়ানোর দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন ট্রেইনি চিকিৎসকরা।
সূত্রঃ প্রথম আলো