গত ১৫ মাসে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছেন। এই সময়ে আরও ২১ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
৩১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডলইস্ট মনিটর প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল গাজা ও পশ্চিম তীরে অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে আসছে। হামাসের আন্তঃসীমান্ত হামলার পর ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হামাসের আক্রমণের পর থেকে ইসরায়েল গাজায় ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
মিডলইস্ট মনিটরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে চলমান ইসরায়েলি হামলায় ১২ হাজার ৯৪৩ জন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন এবং আরও ২১ হাজার ৬৮১ জন আহত হয়েছেন, এই তথ্য ফিলিস্তিনি তথ্য কেন্দ্রের বরাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার পাশাপাশি ৫৪২ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া, ইসরায়েলি হামলায় নিহত শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মীর সংখ্যা ৬৩০ জন, এবং আহত হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৮৬৫ জন।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গাজায় চলমান যুদ্ধে ৪২৫টি স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষা-সংক্রান্ত ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এবং ইউএনআরডব্লিউএ-অধিভুক্ত ৬৫টি স্কুলও আক্রান্ত হয়েছে। পশ্চিম তীরে ১০৯টি স্কুল ও সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গাজা উপত্যকায় ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল তার আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
ইসরায়েলি হামলার কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের মতে, গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, এবং খাদ্য, পানি ও ওষুধের সংকটের মধ্যে তারা বর্তমানে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন।
ঠিকানা